১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত

যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনের সিয়াটলের একজন ফেডারেল বিচারক এ আদেশ দেন।

মার্কিন বার্তাসংস্থা সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিচারক জন সি. কফেনার এই আদেশের ফলে ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। তিন দিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্বাহী আদেশ জারি করার পর ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ইলিনয় ও ওরেগন রাজ্য থেকে মামলা করা হয়।

বিচারক বলেন, এটি একটি স্পষ্টতই অসাংবিধানিক আদেশ। ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো আইনজীবী কীভাবে এ ধরনের আদেশকে সাংবিধানিক বলে নিশ্চিত করতে পারেন, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি।

অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।

এর আগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়েই জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করার নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।

ওই আদেশ অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারির পর অবৈধভাবে বা শিক্ষা-পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে শিশুকে মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। এমনকি যেসব মা বৈধভাবে কিন্তু সাময়িক উদ্দেশ্যে (যেমন পর্যটন, শিক্ষার্থী বা সাময়িক কর্মী) যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন, তাদের সন্তানরাও নাগরিকত্ব পাবেন না যদি বাবাও অনাগরিক হন। তবে মা-বাবার কেউ মার্কিন নাগরিক হলে সন্তান জন্মের পরই মার্কিন নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবে।

আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি জানান, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস, এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।

ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর মামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি অঙ্গরাজ্য, দুটি শহর ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বেশ কয়েকটি সংগঠন। এরপর আদেশটি সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন আদালত।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top