১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে মশার উৎপাত, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

মো. আবু রায়হান, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম ছাত্রাবাসের পাশে জলাবদ্ধতা ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের। মশার কামড়ে অসুস্থ হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে মশার উপদ্রব অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে রাতে মশার কামড়ে ঘুমানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাসে এমন দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগের অবসান ঘটানো।

ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী খালিদ বলেন, দিনের বেলায়ও রুমে অবস্থান করা যাচ্ছে না। মশার উৎপাতে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে গেছে। এখন রমজান মাস চলছে, রাতে দ্রুত ঘুমাতে হয়। কিন্তু মশার উৎপাতে আমাদের জন্য বিভীষিকাময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হোস্টেলের আশপাশের জলাবদ্ধতা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ মশার বংশবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আমরা অনেকবার অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু হল প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির বলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলগুলোতে মশা এক যন্ত্রণাদায়ক পতঙ্গের নাম। বিরক্তিকর উপদ্রবের পাশাপাশি তারা রোগজীবাণু সংক্রামণ করে। এই মশা অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এখানে কলেজ প্রশাসনের উচিত প্রাকৃতিক উপয়ে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া হোস্টেল মাঠের ঘাসগুলো প্রতিনিয়ত কেটে ছোট করা এবং পরিষ্কার রাখলে মশার উপদ্রব কিছুটা কমবে।

মুসলিম ছাত্রাবাসের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক আবু জাফর মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ধোঁয়া দেওয়ার পক্ষে না। তারা বলেছে যে ধোঁয়া দিলে মশা নিধন হয় না। তার চেয়ে আমরা ড্রেন পরিষ্কার করার অভিযান চালাব। পরে তাদের সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে, ড্রেন পরিষ্কার অভিযান শুরু হলে জানাব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ড্রেন আমরা যদি পরিষ্কার করি, তাও কোনো কাজ হবে না। যেটি মেইন ড্রেন রয়েছে, সেটা জট বেঁধে আছে, সেখান দিয়ে কোনো পানি চলাচল করে না।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top