১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ডোমারে ব্যাপক হারে তামাক চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে

মোঃ বাদশা প্রামানিক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী ডোমার উপজেলায় প্রতিবছর তামাক চাষের দিকে ঝুকছে কৃষকেরা। ফলে একদিকে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের অপরদিকে ব্যাহত হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন।খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনের চেয়ে অতিরিক্ত লাভের আশায় তামাক চাষের দিকে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।কৃষি বিভাগের তথ্য মতে,গত বছর উপজেলার ৩০৫ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছিল। এবছর যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৫ হেক্টরে। টোবাকো কোম্পানিগুলো অগ্রিম টাকার লোভ দেখিয়ে চাষীদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় তামাক চাষের কারণে ব্যাহত হচ্ছে শেষ ব্যবস্থাও। দেখা যায় উপজেলায় বেশিরভাগ তামাক চাষ হয় হরিণ চোড়া এলাকায়। এছাড়াও সোনারায়, বামুনিয়া, বোড়াগাড়ি ও ডোমার সদর ইউনিয়নেও ব্যাপকভাবে হচ্ছে তামাক চাষ।

হরিণ চোড়ার তামাক চাষী হবিবর রহমান বলেন,তামাক চাষের ঝুঁকি কম, তাছাড়া অগ্রিম সাহায্যও পাওয়া যায়। এবং কোম্পানিগুলো বাসায় এসে নগদ টাকায় তামাক নিয়ে যায়। আমরা শুকিয়ে বোঝা বেধে ওজন করে দেই। তামাক বাজারে নেওয়ার ঝুঁকি থাকে না শ্রম ও সময় কম লাগে।বামুনিয়া ইউনিয়নের কৃষক হোসেন মিয়া বলেন,ফসল উৎপাদনে কোন সমস্যা হলে কৃষি কর্মকর্তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। তামাক চাষে লাভ বেশি। তাছাড়া সুদ বিহীন লোন পাওয়া যায়। তাছাড়া আরও বিভিন্ন সুবিধার কারণে আমরা তামাক চাষ করি।

উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, তামাক কোম্পানিগুলো লোভে ফেলে কৃষকদের তামাক চাষ করাচ্ছে। সভা সমাবেশ করে কৃষকদের তামাক চাষ সন্ধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এখানে মেনলি যে বিষয়টি কাজ করে তামাকের কিছু কোম্পানি আছে এ কোম্পানিগুলো কৃষকদের তামাক চাষে আগাম প্রণোদনা দিয়ে থাকে, বিশেষ করে তামাক চাষে অগ্রিম কিছু টাকা দিয়ে থাকে। অনেক কৃষককেই আছে যারা অগ্রিম টাকা পাওয়ার আশায় বা সাপোর্ট পাওয়ার আশায় সুযোগ গ্রহণ করে। আরেকটি বিষয়ে আছে তামাকের বাজার মূল্য এখন অনেক ভালো প্রতিমন প্রায় ১০ হাজার টাকা। সুতরাং এই দিক থেকেও কৃষকেরা আকৃষ্ট হচ্ছে।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top