লালন, ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ
গতকাল অভিযান চালিয়ে চোরাই মোটরসাইকেলসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী নেসকোর কর্মচারী, পাবনা সদর থানাধীন কামালপুর গ্রামের মোঃ মোশাররফ হোসেন (৪১) তার নিজস্ব ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলটি নেসকো পিএলসি ঈশ্বরদী কার্যালয়ের গেটের সামনে তালাবদ্ধ করে বিদ্যুৎ লাইনের কাজের জন্য কার্যালয়ের বাইরে যান। কাজ শেষে রাতে ফিরে এসে দেখেন তার মোটরসাইকেলটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সেটি পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ঈশ্বরদী থানায় একটি চুরি মামলা রুজু হয় (মামলা নং-৪১)। পাবনা জেলার পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় এবং ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঈশ্বরদী থানাধীন আলহাজ্ব মোড়ের সামনে থেকে স্থানীয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা প্রান্ত (২৪) কে আটক করে।
পরে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার দেওয়া তথ্যমতে রাতভর ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জহিরপুর গ্রাম থেকে জুয়েল (২৫), পিতা মোঃ আলাউদ্দীন এর বাড়ি থেকে ২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
প্রান্তকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার বাগুয়ান গ্রামের ওয়াজেদ আলী (৫৫), পিতা মৃত মহসিন-এর হেফাজতে থাকা তার বাড়ি থেকে আরও ১টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, ঈশ্বরদী থানাধীন মুলাডুলি ইউনিয়নের রেলগেটের উত্তর-পূর্ব পাশে হাজ্জাজ স্টোরের সামনে পরিত্যক্ত টিনের দোচালা ঘরের পেছনে ঝোপের মধ্যে আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেল এবং প্লাস্টিক বস্তার মধ্যে কালো রঙের সিট, ইঞ্জিন গার্ড, ২টি কালো রঙের সাইড কভার, হলুদ রঙের ব্যাক প্যানেল, ট্যাংকি ও ট্যাংকি মাউন্ট কভার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল চোর প্রান্ত পাবনা, ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা। ঈশ্বরদী থানা পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীদের মধ্যে সে অন্যতম।
সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার এবং ঈশ্বরদী থানা এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি রোধকল্পে পাবনা জেলার পুলিশ সুপারের সার্বিক সহায়তায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ অত্যন্ত তৎপর ও সংকল্পবদ্ধ।
মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে চুরি-সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে।