মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ী আঃ কুদ্দুস আলী মন্ডল (৪২) কে হত্যা মামলার রায়ে রেজাউল সেখ ওরফে রিয়াজুল সেখ ( তোজাম) কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তোজাম পাংশা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ সামাদ আলী সেখের ছেলে।
এসময় সাতবাড়ীয়ার বুধোই সেখের ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন সেখ ও নিহতের স্ত্রী বন্যা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করে।
মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজবাড়ীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় প্রদান করেন।
মামলার অভিযোগে প্রকাশ, আঃ কুদ্দুস পাংশা শিল্পকলা একাডেমির পাশে মেডিল্যান্ড হাসপাতাল ও ডায়াগণস্টিক সেন্টারের সামনে (নারায়নপুর) মুদিখানার ভ্যারাইটিজ সামগ্রী দোকান থেকে বিভিন্ন মালামাল গাড়ী যোগে বহন করে জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারী সকাল ৯টার সময় বাড়ী থেকে কাজের উদ্দেশ্যে পাংশায় আসে। সারাদিন কাজ শেষে রাত ১০ টার দিকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু কুদ্দুস বাড়ীতে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে যশাই ইউনিয়নের ধোপাকেল্লা গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্যে পাকা রাস্তার উপর ৩০ জানুয়ারী রাত ২ টার সময় মরদেহ পাওয়া যায়। তার মাথা ও বাম দিকের চোঁখে ধারালো অস্ত্রের কোপ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটানোর দাগ পাওয়া যায়। অজ্ঞাতনামারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুদ্দুসকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখে। এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মৃত হোসেন আলী মন্ডলের স্ত্রী মোছাঃ রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে কুদ্দুসের স্ত্রী মোছাঃ বন্যা খাতুন, প্রতিবেশী রেজাউল শেখ তোজামের সাথে পরকীয় আসক্ত হয়। এ নিয়ে কথাকাটা হয়। পরে রেজাউল শেখ তোজাম, তোজামের চাচাতো ভাই মোঃ আলাউদ্দিন শেখ কুদ্দুসকে মারধরও করে। এতে সন্দেহ হয় বন্যা খাতুন ও পরকীয়া পেমিক মোঃ রেজাউল শেখ তোজাম ও আলাউদ্দিন শেখ যোগসাজসে হত্যা করে।
রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (২) বলেন, মামলার ২৪ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে।
