সোহারাব, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
মহেশখালী উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা হবে শিগগিরই- এমন খবরে নড়েচড়ে বসেছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী। পদ পেতে শুরু করছেন নানা তদবির! তাদেরই একজন মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া।
নিজেকে সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ দাবি করে জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘মহেশখালী উপজেলা বিএনপির কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজনৈতিক আদর্শে সততার সঙ্গে কাজ করে এসেছি। মাঠ পর্যায়ে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। জীবনের প্রায় সময় জেলে কেটেছে। যতটুকু সময় পেয়েছি ততটুকু এলাকার জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি।
দলের হাইকমান্ড দক্ষিণের জন্য ‘ক্লিন ইমেজ’ নেতৃত্ব খুঁজছেন জানিয়ে জিয়া বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, সিনিয়র নেতাদের দূরদর্শী চিন্তা-চেতনায় এবং তীক্ষ্ণ নজরে আমি বাদ পড়ব না যোগ্যতার বিচারে। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। এখনও দলকে সুসংগঠিত করতে এবং একজন সমাজসেবক হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’
দলের কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার অপরাধে দীর্ঘসময় কারাভোগও করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে দলের সুদিনে এসেছে। আশা করছি, আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। সেই দৃষ্টিকোণে আমি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতেই পারি।বিএনপি পরিবারের সদস্য ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় দীর্ঘ ১২ বছর কারাগারের অন্ধ প্রকোস্টে কাটিয়েছি। দলের জন্য নিজের জীবনের সর্বোচ্চটুকু দিয়েছি। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর জেল থেকে বের হই। জেল থেকে বের হয়ে মহেশখালীতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নানা কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি।’
সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলে আগামী পরিকল্পনা কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে জিয়া বলেন, ‘নন্দিত জননেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক মহেশখালী বিএনপিকে ঢেলে সাজাব। তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত এবং ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের সক্রিয় করে জনগণের কাছে বিএনপির রাজনীতির সুবাতাস ছড়িয়ে দেব।’
জানা গেছে, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে যুক্ত জিয়াউর রহমান জিয়া। কালারমার ছড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর কালারমার ছড়া ইউনিয়ন যুবদলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি কক্সবাজার জেলা যুবদলের সদস্য হন।