ভূজপুরের সমাজসেবামূলক অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নাম ছিলেন মরহুম ছৈয়দুল হক সাহেব। আজ তাঁর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই সহজ-সরল, সদা হাস্যজ্জ্বল, পরোপকারী মানুষটিকে।
তিনি ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী, ক্রীড়ামোদী, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ। ভূজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছেন।
বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, ছোটদের প্রতি ভালোবাসা আর সাধারণ মানুষের জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র। গরীব-দুঃখী-অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো ছিল তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আলেম-ওলামা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে ছিল সুসম্পর্ক।
ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে ছিল এক বিশেষ সম্পর্ক। যখন ‘পপুলার লাইব্রেরী’ এবং ‘ডিপার্টমেন্টাল স্টোর’ চালু ছিল, দীর্ঘ দুই বছর কম্পিউটারের কাজে রেগুলার বসতাম। মামা-ভাগিনার সম্পর্ক ছাড়িয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আত্মিক একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তিনি ছিলেন অমায়িক, মিশুক ও মানুষের উপকারে সদা প্রস্তুত। নিজের সামর্থ্যের বাইরে গিয়েও মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে যেন তিনি সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি পেতেন।
আলহামদুলিল্লাহ, মামার সেই মানবিক গুণাবলি এবং ভালোবাসার স্মৃতি তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী সন্তান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ভাই, শাহজাহান ভাই, নিজাম ভাইদের মাঝেও আজও বিদ্যমান। তাঁর সন্তানরাও অনেকটা বাবার মতোই পরোপকারী, মিশুক ও ভালো কাজে উৎসাহী। আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে আরও উত্তমভাবে হেদায়েত দিন এবং সমাজসেবার কাজের তাওফিক দিন।
প্রতিবছরের মতো এবারও মরহুমের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জনাব হক সাহেবের পরিবারের পক্ষ থেকে এতিমদের খানা খাওয়ানো, ফাতেহা জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন ইছালে সওয়াবের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসায় কোরআন খতম ও গরীব-দুঃখীদের মাঝে খাদ্য বিতরণের মাধ্যমে দিনটি শ্রদ্ধাভরে পালন করা হয়। এই সকল উদ্যোগের মাধ্যমে মরহুমের প্রতি ভালোবাসা এবং তাঁর রেখে যাওয়া মানবিক আদর্শকে জীবন্ত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীরা।
আমরা মরহুমের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা যেন তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করেন এবং তাঁর সমস্ত নেক আমল কবুল করেন।
স্মরণে:
এম. আসগর সালেহী
ভূজপুর, চট্টগ্রাম।