১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলের পথে পথে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম জাদু

তরফদার মামুন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

বৈশাখের শেষপ্রান্তে এসে মৌলভীবাজারের প্রকৃতি যেন এক নতুন রূপে সাজছে। কখনো রোদ, কখনো ঝড়-বৃষ্টি—এই বদলানো আবহাওয়ার মাঝেও প্রকৃতির বুকে রঙ ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রক্তিম সৌন্দর্য। শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কের ধারে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া পথচারীদের চোখ জুড়িয়ে দিচ্ছে আপন মহিমায়।
সড়কের দু’পাশে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ, মাঝে মাঝে সোনালু ফুলের হলুদ ঝলক এ যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা ছবি। পর্যটনপ্রিয় এলাকা শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে এখন কৃষ্ণচূড়ার এই বাহার দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে।

বর্তমানে দেখা যায়, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া প্রকৃতিকে করে তুলেছে আরও জীবন্ত ও রঙিন। শহরের বিভিন্ন রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার এমনকি গ্রামের ছোট পথেও দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রঙিন উপস্থিতি।

বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ সড়কের বধ্যভূমি ’৭১-এর পাশ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো প্রকৃতিকে উপহার দিয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য। সবুজ পাতার ফাঁকে ফুটে থাকা লাল, কমলা রঙের কৃষ্ণচূড়া ফুল চলমান পথিকের মন কাড়ে।
কমলগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘রাস্তার পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে দাঁড়ালে মনে হয় প্রকৃতি যেন আপনাকে আলিঙ্গন করছে।’

সিলেট থেকে ঘুরতে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই সময়টায় কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, জারুল ও সোনালুর ফুলে গ্রীষ্ম যেন হয়ে ওঠে এক রঙিন উৎসব।’

প্রকৃতিপ্রেমী বিভিন্ন জেলা থেকে আগত দর্শনার্থীরা বলেন কৃষ্ণচূড়া আমাদের সাহিত্যেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর রক্তিম রঙ প্রকৃতিকে দেয় এক অন্যরকম আবেদন, যা দূর থেকেই মন কেড়ে নেয়।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top