মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর মাঠে এখন শুধু পাকা ধানের সুবাস। নিচু জমিগুলোর ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন কৃষকেরা। এরই মধ্যে সরকারি উদ্যোগে চলতি বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানও শুরু হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল সরকারি ভাবে বোরো চাউল ক্রয় অভিযান শুরু হলেও নীলফামারীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ। রবিবার চাল ক্রয় শুরু করেছে নীলফামারী খাদ্য গুদাম।
৪ মে রবিবার দুপুরে নীলফামারী সরকারি সদর খাদ্য গুদামে আবুল কালাম আজাদ অটোরাইস মিলের চাল দিয়ে বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, এবার কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৬ এবং মিলপর্যায়ে সেদ্ধ চালের দাম ৪৯ টাকা। এবছর নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ১ শত ৬৫ মে. টন চাল ও ১ হাজার ৭ শত ২ মে. টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল হক, খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীলফামারী সদর এলএসডি মোঃ রাশেদুল ইসলাম খন্দকার। এছাড়াও আজিজুল হক অটো রাইস মিলের মালিক আলহাজ্ব আজিজুল হক, সামসুল হক রাইস মিলের মালিক সামসুল হক, নুহা অটো রাইস মিলের মালিক সৈয়দ রাকিব হাসান মিশুক ও আবুল কালাম অটো রাইস মিলের মালিক মনির হোসেন, নীলফামারী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোর্শেদ আজম, বিশিষ্ট চাউল ব্যবসায়ী স্বপন কুন্ডু এবং মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তি।
খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীলফামারী সদর (ওসি-এলএসডি) মোঃ রাশেদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, এ বছর নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ১ শত ৬৫ মে. টন চাল ও ১ হাজার ৭ শত ২ মে. টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।সরকার যে দর নির্ধারণ করেছে তা সন্তোষজনক। আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে মিলার ও কৃষকদের ইতিমধ্যে অবহিত করা হয়েছে। সবার স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছেন বলে এ কর্মকর্তা জানান।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল হক বলেন, আবুল কালাম আজাদ অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ মনির হোসেন এর ৪৫ মে.টন চাল দিয়ে সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এ ক্রয় অভিযান আগামী আগস্ট পর্যন্ত চলবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি সংগ্রহের মূল লক্ষ্য হলো কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দর নিশ্চিত করা, বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তোলা। দুর্নীতি বা হয়রানি এড়াতে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থার কথা জানান তিনি।