মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম,মুরাদনগর প্রতিনিধি
আজ মুরাদনগর উপজেলার নহল চৌমুহনী বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট অভিযানে দুটি মিষ্টির দোকানে ওজন ও মূল্য সংক্রান্ত গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়েছে। জনস্বার্থে পরিচালিত এ অভিযানে বাজার তদারকি ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দেখা যায়, বাজারের উল্লিখিত দুইটি মিষ্টির দোকানে কোনো মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হয়নি। এর ফলে সাধারণ ক্রেতারা পণ্যের প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে অজ্ঞতায় ভুগছিলেন এবং সহজেই প্রতারিত হচ্ছিলেন। এছাড়া দোকানগুলোতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা প্যাকেটজাত মিষ্টির ওজনেও অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়।
উপজেলা প্রশাসনের তদন্তে প্রতিটি মিষ্টির প্যাকেটে ১০০ গ্রাম থেকে ১৮০ গ্রাম পর্যন্ত অতিরিক্ত ওজন পাওয়া যায়। এতে করে ক্রেতাদের নির্ধারিত মূল্যে সঠিক পরিমাণ পণ্য না দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছিল, যা স্পষ্টতই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর পরিপন্থী।
উক্ত অনিয়মের প্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে প্রতিটি দোকানিকে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা করে মোট ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিয়মকারী ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, “বাজারে পণ্যের ওজন ও দামের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। ক্রেতাদের অধিকার রক্ষা এবং বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। কোনো অনিয়মকেই বরদাশত করা হবে না।”
অভিযানে উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বাজার ঘুরে দোকানিদের মূল্য তালিকা টানানো ও সঠিক ওজনে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করেন।
জনসাধারণের পক্ষ থেকে প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, নিয়মিত এ ধরনের অভিযান বাজারে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
উল্লেখ্য, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী পণ্যে নির্ধারিত ওজন, মান ও মূল্য তালিকা না রাখা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। জনস্বার্থে প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে।