নিজস্ব প্রতিবেদক:
কাশ্মীরে ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর জেরে ভারত বুধবার প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলার পরপরই পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
হামলার জবাবে ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারের বরাতে জানা গেছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি এবং পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ভারতের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তারা দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। সামা টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর পূর্বের আকাশে ভারতীয় একটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঞ্জাব প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ। তিনি সকল নিরাপত্তা সংস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করে তাদের অবিলম্বে কাজে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সিভিল ডিফেন্স ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পাকিস্তান আগ্রাসনের যথাযথ জবাব দিচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় ধরনের কিছু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সুসংবাদ আসবে। বিশ্ব এখন আমাদের দৃঢ়তা প্রত্যক্ষ করছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের অবস্থানের পক্ষে কথা বলেছে, এটি আমাদের কূটনৈতিক সাফল্য।’
পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যম দাবি করছে, দেশটির সেনাবাহিনী ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তরে পাল্টা হামলা চালিয়েছে এবং দুটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। চলমান এই উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।