আসগর সালেহী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাসিমপুর বাগিছাহাট এলাকায় কদম রসুল হিফজুল কুরআন মডেল মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী শিক্ষকের বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল (৬ মে) মঙ্গলবার এ বিষয়ে চন্দনাইশ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিশকাতুল আলম রাতিফের (১০) মা সানজুমান তাসনিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৬ মে সকালে মাদ্রাসায় আগের দিনের পড়া আদায় করতে না পারায় শিক্ষক হাফেজ নুর হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে মিশকাতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেত্রাঘাত ও রিয়ালের আঘাত করেন। দুপুরে ছেলের জন্য খাবার নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে তার মা ছেলের কান্নাকাটি শুনে ঘটনা জানতে পারেন। পরে ছেলের শরীরের কাপড় খুলে দেখলে সারা শরীরে বেত্রাঘাতের দাগ দেখতে পান। দ্রুত মিশকাতকে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান তিনি।
ভুক্তভোগী মিশকাত উপজেলার দক্ষিণ জোয়ারা ইউনিয়নের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। এ বিষয়ে মিশকাতের মা বাদী হয়ে হাফেজ নুর হাসানকে একমাত্র বিবাদী করে চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশীয় আইন কি বলে: বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০ সালের ৩২৩ ধারা অনুযায়ী, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যকে আঘাত বা জখম করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া ‘শিশু আইন ২০১৩’-এর ৭০ ধারা অনুযায়ী, কোনো শিশু শিক্ষার্থীকে শারীরিক, মানসিক বা যে কোনো ধরনের নির্যাতন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের মারধর, অপমান বা মানসিক নির্যাতন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।