নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের নয় মাস পার হলেও এখনো গণহত্যার কোনো দৃশ্যমান বিচার হয়নি। এরই মধ্যে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের দেশত্যাগ ও বিদেশে আয়েশি জীবনযাপনের বিষয়ে সমালোচনা বাড়ছে। সর্বশেষ বুধবার (৭ মে) মধ্যরাতে ছেলে ও শ্যালককে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
ঘটনাটি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বর্তমান অবস্থার কড়া সমালোচনা করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
হাসনাত লেখেন, “খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ ধরলেও আদালত জামিন দেয়। শিরীন শারমিনকে বাসায় গিয়ে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন আওয়ামী লীগের বিচার করবেন?”
তিনি আরও লেখেন, “তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?”
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ১১টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এ এম নওশাদ।
সূত্রে জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কোনো মামলাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কাছে কোনো অভিযোগ না থাকায় ইমিগ্রেশনে কোনো জটিলতা হয়নি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ উঠলেও এখনো পর্যন্ত কোনো তদন্ত বা বিচার শুরু হয়নি।