মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, মুরাদনগর প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলাবাসীর যাতায়াতের অন্যতম প্রধান পথ—মুরাদনগর বেরিবাঁধ সংলগ্ন পুরনো ব্রিজটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় চার দশক আগে নির্মিত এ ব্রিজটি বর্তমানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ, যানবাহন ও শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ পার হচ্ছেন।
স্থানীয়দের মতে, ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৯০ সালেরও আগে। এরপর বারবার আংশিক সংস্কার করলেও তা ছিল অস্থায়ী সমাধান। প্রতিবারের সংস্কার ব্যয় মিলিয়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন ব্রিজ নির্মাণ সম্ভব ছিল বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
বর্ষাকালে যখন নদীতে পানির চাপ বেড়ে যায়, তখন ব্রিজের নিচের অংশে ভাঙন সৃষ্টি হয় এবং কাঠামোগত দুর্বলতা প্রকট হয়ে ওঠে। এই সময়টিতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। বৃদ্ধ, শিশু, স্কুলগামী শিক্ষার্থী—সবাইকে প্রতিনিয়ত বিপদের মুখোমুখি হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, “প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে বারবার বলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এই ব্রিজ দিয়ে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। এটি ভেঙে নতুন ব্রিজ করা এখন সময়ের দাবি।”
সচেতন মহল ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বলছেন, বারবার সংস্কারের নামে সরকারি অর্থ ব্যয় হচ্ছে, অথচ স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। একটি মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ এখন সময়োপযোগী ও অত্যাবশ্যক।
মুরাদনগরের সাধারণ জনগণ সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে—অবিলম্বে ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটি ভেঙে নতুন একটি আধুনিক ও টেকসই সেতু নির্মাণ করা হোক, যেন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে চলাচল করা যায়।
ব্রিজ না পাল্টালে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা—এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় এলাকাবাসী। এখন প্রয়োজন দ্রুত সিদ্ধান্ত ও কার্যকর উদ্যোগ।