মোঃ তুহিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
একজন ‘মানবিক ইউএনও’ হিসেবে পরিচিতি নিয়েই চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার বিদায় নিলেন নিশাত আনজুম অনন্যা । যোগদানের কিছু দিনের মধ্যেই নিজ গুণে সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। উপজেলাবাসী একজন সজ্জন, কর্মঠ, জনবান্ধব ও দক্ষ অফিসারকে হারিয়ে আজ বেদনাবিধুর।
গত প্রায় ১৭ মাস গোমস্তাপুর উপজেলার মানুষকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এ সময়ে তিনি সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে জনগণের সেবা দিয়েছেন। তিনি উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর ছিল তার সজাগ দৃষ্টি। তার প্রশাসনিক এলাকায় জনস্বার্থবিরোধী কোন ঘটনা তার নজরে এলে কালবিলম্ব না করে তাৎক্ষণিক সরেজমিনে গিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে তা দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করেছেন। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যে মূলধর্ম কাজের মধ্যদিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।
সাংবাদিক শাহিন বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনিসমূহে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বা তরুণ শক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
ফটো সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি সরকারি প্রোগ্রামগুলো কভারেজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেছি, তা হলো, উনি খুব স্থির ও ধৈর্যশীল মানুষ। মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। বিরক্ত, অবহেলা বা ব্যস্ততা দেখাতেন না কাউকে।
গোমস্তাপুর স্মার্ট প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, তিনি জনবান্ধব মানুষ ছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মন জয় করেছিলেন। নিম্নশ্রেণি থেকে উচ্চপদস্থ লোক খুব সহজে তার কাছে যেত পারত। কোন ঘটনাঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে যেতেন। সাংবাদিক তুহিন বলেন তিনি অত্যন্ত নর্ম ভদ্র ও বিনয়ের একজন মানুষ ছিলেন তার কাছে দাপ্তরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি সুন্দরভাবে সেই সমস্যা সমাধান করে দিতেন I হঠাৎ একজন মানবিক ইউএনওর বদলির খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন গোমস্তাপুর উপজেলার হাজারো মানুষ তারা বলেন এরকম ইউএনও বাংলাদেশের প্রতিটা উপজেলাই দরকার এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও সাংবাদিক বৃন্দ এমন মানবিক ইউএনওকে হারিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন I