নিজস্ব প্রতিবেদক:
হত্যা মামলার আসামি হয়েও সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ত্যাগ করেছেন। তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল ব্যবহার করে চার ঘণ্টা অবস্থান শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে ও শ্যালক।
সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতেই তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইমিগ্রেশন বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ও বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান শেখ।
ঘটনার পর সামাজিকমাধ্যম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। অনেকে সরকারের আন্তরিকতা ও তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আবদুল হামিদের দেশত্যাগ অপ্রত্যাশিত এবং তার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ ও ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এ ঘটনাকে অন্তর্বর্তী সরকারের গোপন সহযোগিতার অংশ হিসেবে দেখছে।
ঘটনাটি এখন কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।