খন্দকার নিরব, ভোলা প্রতিনিধিঃ
১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে যদি কোনো বড় সেতু হয়, তাহলে ভোলা-বরিশাল সেতুই হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেলে ভোলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রস্তাবিত বরিশাল-ভোলা সড়কে কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সেতুসচিব এ কথা বলেন।
বেশ কিছুদিন ধরে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ভোলাবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ভোলা জেলা পরিদর্শনে আসেন।
মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমরা ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছি। জাপান-বাংলাদেশ সপ্তম জিটুজি পিপিপি প্ল্যাটফর্ম সভায় পিপিপির মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় ভোলা-বরিশাল সেতুর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। এতে জানানো হয়, এ প্রকল্প নির্মাণে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বিনিয়োগের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আট বছর। প্রস্তাবিত প্রকল্প শুরু হবে আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে। সেতু নির্মাণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ মাস। আগামী ২০৩৩ সালের মধ্যে সেতুর কাজ সমাপ্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই ২০২০ সালে প্রথম দফায় সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন করা হয়। ২০২৪ সাল পুনঃসম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন হয়। চলতি বছরেই পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাব করা হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মহিউদ্দিন বলেন, কীভাবে যত দ্রুত ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ করা যায়, সে ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. শরিফুল হক, নৌ কমান্ডার শহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সদস্যসচিব রাইসুল আলম, বিজেপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল আলম, ভোলা থিয়েটারের সেক্রেটারি সংগীতশিল্পী তালহা তালুকদার বাঁধন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা শরীফ আহমেদ সাগর, রাহিম ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভা শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মহিউদ্দিন।