নিজস্ব প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে পোশাককর্মী মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (৯ মে) সকালে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতভর আইভীকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে তার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। একই সময় আইভীর কর্মী-সমর্থকরাও বাসার সামনে জড়ো হয়ে তার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন, যা পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী এ বিষয়ে জানান, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জে মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে।”
আইভীর গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেওভোগে তার বাড়ির সামনে জড়ো হয়। সেখানেই আইভী সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “তাদের (পুলিশ) বলবা, আমি দিনের বেলা ছাড়া যাবো না। আমাকে আটক করতে হলে দিনের বেলা আসতে হবে। দিনের বেলা আমাকে নিতে হবে।”
আইভীর এই বক্তব্যে তার সমর্থকদের মধ্যে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ টানটান উত্তেজনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে।
আইভীর গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা এর নিন্দা জানিয়ে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।