১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

আদর্শিক নেতৃত্বের আলোকবর্তিকা মোহাম্মদ মুনতাসীর আহমেদ

আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ, নরসিংদী প্রতিনিধি:

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মুনতাসীর আহমেদ—একটি নাম, যা আজ হাজারো তরুণের অন্তরে এক সাহস, এক অনুপ্রেরণা। তার নেতৃত্বের গুণাবলি, ব্যক্তিত্বের মাধুর্য ও আদর্শিক দৃঢ়তা সংগঠনকে পৌঁছে দিয়েছে এক নতুন উচ্চতায়।

ছাত্রজীবনে ইসলামি আদর্শে বিশ্বাসী একজন মেধাবী তরুণ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মুনতাসীর আহমেদ। সংগঠনের বিভিন্ন ধাপে তার অগ্রযাত্রা কখনো ছিল না আরামদায়ক, বরং ছিল সংগ্রাম ও আত্মনিবেদনের সমন্বয়ে গঠিত। কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপেই তিনি প্রমাণ করেছেন—আদর্শকে আঁকড়ে ধরলে সফলতা কেবল সময়ের ব্যাপার।

নেতৃত্বে দৃঢ়তা, আচরণে নম্রতা
মোহাম্মদ মুনতাসীর আহমেদের নেতৃত্বে সবচেয়ে স্পষ্ট যে বৈশিষ্ট্যটি প্রতিফলিত হয় তা হলো—দায়িত্বশীলতা। তিনি সংগঠনের দায়িত্বকে কেবল একটি পদমর্যাদা হিসেবে দেখেন না, বরং এটি একধরনের আমানত হিসেবে বিবেচনা করেন। কর্মীদের প্রতি তার সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি, সবস্তরের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শমূলক ও পরিশীলিত যোগাযোগ তার ব্যক্তিত্বকে আরও মর্যাদাশীল করেছে।

সফল সংগঠক, দক্ষ পরিকল্পনাকারী
দাওয়াতি কর্মসূচি, সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালীকরণ, প্রশিক্ষণ, সদস্যসংগঠন বৃদ্ধি—প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রয়েছে মুনতাসীর আহমেদের বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী পরিকল্পনার ছোঁয়া। কেন্দ্রীয় কার্যক্রম থেকে শুরু করে তৃণমূলের কার্যক্রম পর্যন্ত তার চিন্তাধারা বাস্তবায়ন করে সংগঠনের গতিশীলতা বাড়িয়েছে বহুগুণ।

তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা
বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা পর্যায়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী তার কাজ, বক্তব্য ও জীবনদর্শন থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে আজ সংগঠনের ছায়াতলে এসে দাঁড়িয়েছে। আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ইসলামী চেতনার অপূর্ব সংমিশ্রণ তাকে তরুণ সমাজের কাছে আদর্শিক আইকনে পরিণত করেছে।

ব্যক্তিত্বের গভীরতা
সহকর্মীরা বলেন, “মুনতাসীর ভাই শুধু একজন সংগঠক নন, তিনি আমাদের অভিভাবক। তাঁর মতো নেতা পাওয়া সংগঠনের জন্য এক অমূল্য সম্পদ।” তার বিনয়ী ভাষা, হৃদয়স্পর্শী আচরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভারসাম্য তাকে সংগঠনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করেছে।

একান্ত অনুভব
এক স্বভাবসুলভ বিনয় নিয়ে তিনি বলেন, “সংগঠনের প্রতিটি কর্মী আমার পরিবারের সদস্য। আমি কেবল তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইসলামের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। আমার সফলতা নয়, আমাদের সম্মিলিত চেষ্টাই ইসলামী সমাজ গঠনের মূল চাবিকাঠি।”

শেষ কথা
মোহাম্মদ মুনতাসীর আহমেদের জীবনের এই সাফল্যগাঁথা কেবল ব্যক্তি অর্জন নয়—এটি একটি আদর্শিক সংগ্রামের ফসল, যা থেকে আজকের তরুণ সমাজ অনুপ্রেরণা নিতে পারে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মতো একটি আদর্শিক সংগঠনের জন্য এমন নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে আশীর্বাদস্বরূপ

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

এই বিভাগের আরও খবর

পাকিস্তান-ভারত, বিচারহীন ঘৃণার রাজনীতি নয়, চাই সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গি

মোঃ নুর আলম পাপ্পু, সাংবাদিক বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় আমরা প্রায়শই এমন কিছু বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি, যেগুলোর মূলত গভীরতা নেই, কিন্তু আবেগ-উত্তেজনায় ভরপুর।

যার গর্ভে জন্ম, যার পায়ে জান্নাত—তাঁকে একদিনে সীমাবদ্ধ করো না

লেখক জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান সময়ের গর্ভে হারিয়ে যেতে যেতে একদিন ফিরে আসে, যেদিন মানুষ ফুল দিয়ে স্মরণ করে তাকে, কার্ডে আঁকে ভালোবাসা, সোশ্যাল মিডিয়ার

আল্লাহর ভালোবাসা—হৃদয়ের আকাশ জুড়ে অনন্ত শান্তির প্রভা

লেখক জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান যখন পৃথিবীর সমস্ত শব্দ স্তব্ধ হয়ে আসে, যখন সব আশা ধূসর ধুলোয় মিশে যায়—তখনো এক অনন্ত আশ্রয়, এক চিরন্তন ভালোবাসা

৫ মে: শাপলা চত্বরের সেই রক্তাক্ত রাতের স্মৃতি

আজ ঐতিহাসিক ৫ মে। ক্যালেন্ডারে অনেক বছর পেরিয়ে গেলেও বদলায়নি সেই ‘ভয়াল রাতের স্মৃতি’। ২০১৩ সালের এই দিন, ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে ইতিহাসের ‘নির্মমতম গণহত্যা’

Scroll to Top