নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে যুদ্ধবিরতির পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও আতঙ্ক ও ভয় এখনও কাটেনি। সীমান্তের বাসিন্দারা এখনও নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে ভীত। বিশেষত আজাদ কাশ্মীর ও ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মানুষরা, যারা যুদ্ধের কারণে আশ্রয় কেন্দ্রে বা পাহাড়ের ঢালে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা এখনও সংঘাতের আতঙ্কে রয়েছেন।
২২ এপ্রিলের কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার পর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়ে ওঠে। ৭-১০ মে পর্যন্ত চলতে থাকে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এরপর যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হলেও সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বসবাসকারী পরিবারগুলো এখনও দোটানায় আছেন—ঘরে ফিরে যাবেন, না থাকবেন?
আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা আজাদ কাশ্মীরের ১,১৪৬ পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, যুদ্ধবিরতির পরও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে এবং তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। কিছু মানুষ এখনও সীমান্তের কাছে অবিস্ফোরিত গোলার কারণে ভয় পাচ্ছেন। একাধিক পরিবার তাদের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন এবং ঘরে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
বিভিন্ন অঞ্চলের নেতারা জানান, যুদ্ধবিরতির পরও বিস্ফোরণের শব্দ এবং সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও অস্থির। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ ও প্রশাসন জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের এখনই ফিরতে না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া, দুটি দেশের প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে যে নিয়ন্ত্রণ রেখার জেলাগুলোতে জরুরি অবস্থা এখনও বলবৎ রয়েছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।
এখনও সীমান্তের হাজার হাজার মানুষ মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা কামনা করছেন। তাদের মধ্যে কেউ আবার প্রিয়জনদের সাথে এক বা দুই দিনের জন্য আশ্রয়ে আছেন। তারা যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে ঘরে ফিরে যেতে চাইলেও এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।