নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের সাফল্যকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানি সেনারা পালটা হামলা চালিয়ে ভারতীয় সেনাদের চরমভাবে পরাস্ত করেছে, যা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের হারকে প্রতিশোধ নেওয়ার এক উদাহরণ।
বুধবার শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে যান শাহবাজ। তিনি বলেন, পাকিস্তানের এই সামরিক প্রতিক্রিয়া ইতিহাসে স্থায়ীভাবে লেখা থাকবে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানি সেনারা ভারতের আগ্রাসন ঠেকিয়ে দিয়েছে।
এই সফরে শাহবাজের সঙ্গে ছিলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবাল এবং তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। এছাড়া সেনাপ্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ দেশটির উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
শাহবাজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করেছে তা বিশ্ব জানে। একইভাবে আজ তারা বেলুচ লিবারেশন আর্মি ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সংগঠনকে সহায়তা করছে, যা সরাসরি মোদির সরকারের সঙ্গে যুক্ত।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী, তবে সেই মনোভাবকে দুর্বলতা হিসেবে নেয়া উচিত নয়। মোদিকে উদ্দেশ্য করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি আবার আগ্রাসনের চেষ্টা করা হয়, তাহলে তার পরিণতি হবে কল্পনার বাইরে।
পাকিস্তানে ভারতের পানি প্রবাহ বন্ধের হুমকির প্রেক্ষিতে শাহবাজ বলেন, যদি ভারত এমন কিছু করে, তাহলে সেটিকে যুদ্ধের সমতুল্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না, এটাই পাকিস্তানের সীমারেখা।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে শাহবাজ শরিফ ভারতের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন এবং পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন যে, দেশের নিরাপত্তা ও স্বার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো আপোস করা হবে না।