জয়নাল আবেদীন জহিরুল, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাখাওয়াত হোসেনকে জড়িয়ে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ‘ধর্মপাশায় বয়স্ক ভাতা ও ভিজিডি কার্ড নিয়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ শাখাওয়াত মেম্বারের বিরুদ্ধে, তদন্তের দাবি স্থানীয়দের’- শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
তিনি সোমবার দুপুর ১২টায় সেলবরষ ইউনিয়নের কাকিয়াম গ্রামে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ১৫ মে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে আমাকে জড়িয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে আমার বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং ভিজিডি কার্ড বিতরণের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়াও সংবাদে নাম উল্লেখ না করে কয়েকজনের মনগড়া আপত্তিকর বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। এমনকি সংবাদে আমার বক্তব্য না নিয়েও ইচ্ছেমত বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
শাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, এলাকার কয়েকজন চোরের বিচার করতে গিয়ে আমি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে। আর এ প্রতিহিংনার জেদ মেটাতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত প্রতিটি তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এমন মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে কামিয়াম গ্রামের বাচ্চু মাস্টার, শাহীন মিয়া, মুকতোল হোসেন, আব্দুল হেকিম, কমলা, নজমুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে উপস্থিত উপকারভোগীরা জানান, তাদের বিভিন্ন ভাতার কার্ড করার জন্য ইউপি সদস্য শাখাওয়াত হোসেনকে টাকা দিতে হয়নি। শাখাওয়াত হোসেন ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিষ্টা ও সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।