১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বাকৃবিতে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ

আরাফাত হোসাইন, বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের খালি জায়গায় ৮৬৯ টি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পূবালী ব্যাংক পিএলসি।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দুইটি পলাশ গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আলী, বাকৃবির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, কৃষি অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবুর রহমান, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও পূবালী ব্যাংক বাকৃবি শাখার কর্মকর্তারা।

পূবালী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের মোট নয়টি স্থানে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩শ ৫৫ টাকার ১৯ টি প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হবে।

পূবালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মোহাম্মদ আলী বলেন, পূবালী ব্যাংক সবসময় বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বাকৃবি ক্যাম্পাসে ৮৬৯ টি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ক্যাম্পাসের নয়টি স্থানে মেহগনি, সেগুন, থুজা, পলাশ, কাঠ গোলাপ, টগর, রঙ্গন, বকুল, দেবদারু, হিজল, নিম, নাগেশ্বর চাপা, বকুল কাঠ, মূসান্ডা, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচুরা, সোনালু, জারুল ও পাতাবাহারের মোট ১৯ জাতের বৃক্ষরোপণ করা হবে।

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাকৃবিতে বৃক্ষরোপণ একটি নিয়মিত ঘটনা। আমরা গাছ কাটি আবার গাছ রোপণ করি। যে গাছগুলো পরিপক্ব হয়ে যায় এবং গাছগুলো না কাটলে অন্য কিছু করা যায় না। আমাদের তখন বাধ্য হয়ে গাছ কাটতে হয়। কিন্তু আমরা আবার ফলজ, বনজ সকল ধরনের গাছ লাগিয়েও দিই। আমি আহ্বান জানাই ক্যাম্পাসে কোন প্রজাতির গাছ, কতটি আছে, তাদের বয়স কত, ফুল ও ফল আসার সময় কখন-এই তথ্যগুলো যেন প্ল্যান্ট সেন্টারে সংরক্ষিত থাকে। যাতে তা পরবর্তীতে গবেষণার কাজে আসতে পারে।

শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কৃষি অনুষদকে বলব আপনারা ফলের গাছ আরও বেশি করে লাগান যাতে ফল ধরলে আমাদের ছেলেমেয়েরাই তা খেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে আমলকী, কৃষ্ণচূড়া-রাধাচূড়া কিংবা কিছু নির্দিষ্ট গাছ না লাগিয়ে আমাদের দেশি-বিদেশি যেসব ভ্যারাইটি আছে, সেগুলো নিয়ে গবেষণা করা উচিত। কোন প্রজাতির গাছের আয়ু বেশি, কোনটি পরিবেশের জন্য বেশি উপকারী, কোনটির কোনো ক্ষতিকর দিক আছে কি না-এসব নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। আমাদের ক্যাম্পাসে কোথায় গাছ কাটা হচ্ছে, সেখানে আর কোন প্রজাতির গাছ লাগানো হলে সামগ্রিকভাবে পরিবেশ, জলবায়ু, সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যের জন্য ভালো হবে-এই বিষয়গুলোও যেন আমাদের গবেষণার অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top