নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাজারচালিত নীতির আওতায় ডলারের দর নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকলেও এখন আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এর দাম। মঙ্গলবার বিভিন্ন ব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকা ৮০ পয়সা, যা সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত রেফারেন্স রেটেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ধারা দেখা যাচ্ছে। দিনের শুরুতে এ রেট ছিল ১২২ টাকা ৪৩ পয়সা, যা দিনের শেষে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১২২ টাকা ৩১ পয়সায়। তবে গড় রেফারেন্স মূল্য ছিল ১২২ টাকা ৬৩ পয়সা।
বুধবার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দর নির্ধারণে সরাসরি হস্তক্ষেপ বন্ধ করে বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো এখন চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করছে। এতে কিছু দুর্বল ব্যাংক বেশি দামে রেমিট্যান্স কিনতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে আমদানিকারকদের কাছে তারা তা বেশি দামে বিক্রি করছে। যদিও বেশিরভাগ ব্যাংক এখনো ১২২ টাকার মধ্যেই আমদানি ডলার বিক্রি করছে।
এদিকে, আসন্ন কুরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বেড়েছে। একই সঙ্গে রপ্তানি আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে বাজারে। তবে আমদানি ব্যয় এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে কিছুটা ভারসাম্যে রাখতে সাহায্য করছে।
কার্ব মার্কেট ও মানি চেঞ্জার হাউসগুলোতে ডলারের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও তুলনামূলকভাবে বেশি। চলতি সপ্তাহে কার্ব মার্কেটে ডলার সর্বোচ্চ ১২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানি চেঞ্জার হাউসগুলোতেও একই দামে লেনদেন হচ্ছে। ব্যাংকে নগদ ডলারের মূল্য ১২৩ থেকে ১২৪ টাকার মধ্যে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের আগে রেমিট্যান্স বাড়লেও বাজারনির্ভর দরের কারণে মূল্য ওঠানামা অব্যাহত থাকতে পারে। তাই বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে নজরদারি এবং স্বচ্ছ নীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।