মোহাম্মদ নয়ন, ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলা জেলার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে নেই ডুবুরি ইউনিট। প্রতিনিয়ত নদী,পুকুরে দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ডুবুরি দল আসে বরিশাল থেকে। এতে দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যায়।
ভোলা জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ সহকারী পরিচালক লিটন আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান ভোলা জেলায় ৭ টি উপজেলায় প্রতিটিতেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে কোন স্টেশন ডুবুরি দল না থাকায় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় স্টেশনে খবর দিয়ে আনতে হয় ডুবুরি সদস্য। তারা তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের এই বিষয় একাধিকবার অবগতি করলেও কোন সমাধান হয়নি।
গত বৎসর ও তারা নদীমাতৃক এলাকায় দূর্ঘটনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ডুবুরি ইউনিটের জন্য তারা যায়গা নির্ধারণ করে উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করেন। লিটন আহম্মেদ আরো জানান দ্বীপ জেলায় একটি নৌ ফায়ার স্টেশন ও ডুবুরি ইউনিটের জন্য তারা জোরালোভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নদীবেষ্টিত ৩,৪০৩.৪৮ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে গঠিত ভোলা জেলায় প্রায় ২০ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। প্রতিনিয়ত নদীতে টলার, মালবাহী জাহাজ, লঞ্চসহ শ্রমিক, শিশু ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ডুবুরি দল না থাকায় পরতে হয় বিপত্তিতে, ডুবুরির অপেক্ষা করতে হয় অনেক সময়।
গত ২০ মে তজুমদ্দিন উপজেলার ৩ নং চাঁদপুর ইউনিয়নে হালিম মাঝির ৫ বৎসরের শিশুটি পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা যায়। তখনও ডুবুরি দল না থাকার এলাকার লোকজন প্রায় চার ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হন পরে বরিশাল থেকে আট ঘন্টা পর ডুবুরি টিম এসে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
জেলার সচেতন মহল মনে করেন ভোলা জেলার সবকয়টি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে ডুবুরি দল না থাকায় দূর্ঘটনার সময় প্রতিনিয়ত বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে। ভোলাতে ডুবুরি ইউনিটের খুবই দরকার এতে করে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে বরিশাল থেকে ডুবুরি দলের অপেক্ষা করা প্রয়োজন হবে না।