রুবেল ফরাজী, নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শান্তনূর হোসেন রুবেলকে অবৈধভাবে বহিষ্কার করার প্রতিবাদে এবং তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন তার কর্মী ও সমর্থকরা। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে গাবতলী, মাজার রোড ও মিরপুর বাংলা কলেজ এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের আমলে দায়েরকৃত একাধিক মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় কারাবন্দি থাকা অবস্থায় রুবেলকে দলে থেকে বহিষ্কার করা হয়, যা দলের নীতি ও মানবিকতার পরিপন্থী।
‘কারাবন্দি অবস্থায় বহিষ্কার—একটি নজিরবিহীন ও অমানবিক সিদ্ধান্ত’
শান্তনূর হোসেন রুবেল ছিলেন বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব। তিনি একাধারে সংগঠক, রাজনৈতিক কর্মী এবং তরুণ সমাজের মাঝে আদর্শিক এক নাম। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন।
‘সর্বাধিক নির্যাতিত কর্মী’ হিসেবে পরিচিত রুবেল
বিক্ষোভে বক্তারা দাবি করেন, রুবেল হচ্ছেন দারুস সালাম থানা যুবদলের সর্বাধিক নির্যাতিত নেতাকর্মীদের একজন। তিনি বিগত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দ্বারা একাধিকবার শারীরিক হামলার শিকার হয়েছেন। তবুও তিনি আন্দোলন ও দলের প্রতি থেকে কখনো পিছু হটেননি।
বহিষ্কার আদেশ ও আইনি পটভূমি
২০২৪ সালের ৭ জুলাই শান্তনূর হোসেন রুবেল মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন এবং টানা ১০ মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০২৫ সালের ১৭ মে জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে, ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়, যা রুবেল ও তার অনুসারীদের মতে সম্পূর্ণ অন্যায় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বিষয়ে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল এবং সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
দাবি ও প্রত্যাশা
বক্তারা বলেন, একজন আদর্শবান, সাহসী ও রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিককে বহিষ্কার না করে বরং পুরস্কৃত করা উচিত। রুবেলের মতো নেতৃত্বই পারে ভবিষ্যৎ যুব সমাজকে রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে।