সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি:
ছিলেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ সমর্থক এখন কলেজ ছাত্রদলের দাপুটে কর্মী। রাজধানীর পুরান ঢাকার সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ—বর্তমানে রয়েছেন সরকারী শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে শাখা ছাত্রদলের একজন সাধারন সদস্য হিসেবে। জানা গেছে, তিনি একসময় ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন।এর আগে তাকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে দেখা না গেলেও জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে শাকিল ছাত্রদলেনর একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন।বর্তমানে তিনি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের এর একজন একনিষ্ঠ কর্মী অনুসারী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায় এস বি সাকিল আহমেদ (যার প্রমাণ তার বর্তমান আইডিতে রয়েছে বলে জানা যায়) নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন প্রচারণা চালাতো বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে তার পূর্বের আইডি দাবি করা আইডির দুটো স্কিনশর্ট পাওয়া গেছে।যেখানে একটা পোস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মোমবাতি প্রোজ্জ্বল নিয়ে আরেকটি পোস্ট ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোক দিবস নিয়ে।
৫ আগস্টের পূর্বে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক রাজনীতিতে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।গত ৫ আগস্টের পর যখন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে তখন শাকিলও তার খোলস পাল্টিয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের ছত্রছায়ায় লালিতপালিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন,৫ শে আগস্টের পর যখন আমরা জানতে পারি সে ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত তখন তাকে ডিপার্টমেন্টের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আনিত অভিযোগ কে মিথ্যা ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে শাকিল আহমেদ বলেন,ঐ আইডিটা আমার না,এটা অন্য কারো আইডি।আমি ছাত্রলীগ করি বা ছাত্রলীগের সাথে আমার সংশ্লিষ্টটা আছে এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারলে আপনারা যে শাস্তি দিবেন তা আমি মাথা পেতে নিব। আমার পুরো পরিবার বিএনপির সাথে যুক্ত।
এবিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিমউদদীন বলেন,সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলে ছাত্রলীগের কোনো দোসরদের জায়গায় হবে না। এমন কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব। সাকিলের বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়েছি সে ছাত্রলীগ করতো না। ঐ আইডি আর তার আগের আইডির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সেটা আপনারা ভালো করে দেখলেই বুঝতে পারবেন।