নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন রাজনৈতিক রূপরেখা এবং গণতন্ত্র পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে “জুলাই সনদ” অবিলম্বে ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “একটি টেকসই গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হলে জনআকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ভিত্তিতে পথ নির্ধারণ করতে হবে। আর সেই পথচলার ভিত্তিপ্রস্তর হবে ‘জুলাই সনদ’। এটি শুধু রাজনৈতিক নীতিপত্র নয়, বরং শহিদদের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।”
বুধবার দুপুরে ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে এনসিপি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাতে এসব মন্তব্য করেন তিনি। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসীন রিয়াজ।
বৈঠকে নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এই সনদে নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক অংশগ্রহণের স্পষ্ট রূপরেখা থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ এখন একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি পদক্ষেপ আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করি, বিলম্ব না করে দ্রুত এবং আন্তরিকতার সঙ্গে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হবে, যাতে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই সফল হয়।”
এ সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচন, গণপরিষদ গঠন ও জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন তিনি।
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এনসিপির প্রস্তাবনায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গঠনে তরুণ নেতৃত্বের চিন্তাশীল অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। চীন সবসময় বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করে যাবে।”
তিনি চীনের ‘অ-হস্তক্ষেপ’ নীতির পুনরায় উল্লেখ করে বলেন, “গঠনমূলক সংলাপ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে যেকোনো রাজনৈতিক রূপরেখা সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।” দু’পক্ষই এই বৈঠকে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং কৌশলগত সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।