জয়নাল আবেদীন জহিরুল, মধ্যনগর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের জেলার মধ্যনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহিষখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল পাঁচ ঘটিকায় মহিষখলা বাজার সংলগ্ন বিজিবি ক্যাম্পের সামনের মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মহিষখলা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি ব্যাচ (২০১৩-১৪ বনাম ২০২৩-২৪) টিম ফ্যালকন বনাম জুনিয়র অন ফায়ার টিম। নির্ধারিত সময়েই খেলা শেষ হয়। টিম ফ্যালকনকে ১-০ তে হারিয়ে প্রথম বারের টুর্নামেন্টে ফাইনালিস্ট বিজয়ী হয় জুনিয়র অন ফায়ার টিম।
সেনারুল ইসলাম সৌরভ, সজল আমিন রাব্বী, সোহেল রানা, আশিক আহমেদসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হয়।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টে আট টি দল গঠন করে অংশগ্রহণ করে। ৮ ই জুন ২০২৫ প্রথম রাউন্ডের খেলা শুরু হয়ে ১০ ই জুন ২০২৫ ফাইনাল খেলার মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হয়। দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নক আউট পদ্ধতিতে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
”এ” গ্রুপে: লিজেন্ড হান্টার্স,রাসেল ভাইপার্স,মনস্টার-১১, ফ্যালকন টিম। “বি” গ্রুপে: ইউরেনিয়াম, এলিট নাইনটিন টুয়েন্টি, বন্ডেড ব্রাদার্স,জুনিয়র অন ফায়ার। ফাইনাল খেলায় স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষকমন্ডলী জনাব তাজুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, ফরহাদ ইসলামসহ ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুক্তার হোসেন, হযরত আলী, সৈয়দ মেম্বারসহ বিভিন্ন জনের উপস্থিতিতে দিকনির্দেশনায় খেলাটি সুষ্ঠু শৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয় ও সমাপ্ত হয়।
মহিষখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের বর্তমান স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোহেল রানা দৈনিক আমার বাংলাদেশ প্রতিবেদককে বলেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সভাপতি হিসেবে ফুটবল টুর্নামেন্টে আয়োজনে অংশগ্রহণ, টুর্নামেন্ট সুশৃঙ্খলভাবে শেষ করতে পারায় আমার খুব ভালো লেগেছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া ও এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে উপস্থিত হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
এছাড়াও বলেন প্রতিষ্ঠানের যেকোনো অনুষ্ঠানে আমার সব সময় সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া যারা উক্ত টুর্নামেন্টে সকল ইভেন্টে সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রতি বছর এমন টুর্নামেন্ট চালু থাকবে যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে আছি।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী সজল আমিন রাব্বী বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে এস.এস.সি ব্যাচ ভিত্তিক শুরু হওয়া বর্তমান ২০২৪ ব্যাচ পর্যন্ত সকল সিনিয়র ভাই ও জুনিয়রদের মিলন মেলার জন্যই আমাদের উদ্যোগ। এতে করে আমাদের ভ্রাতৃত্ব বাড়বে। আগামীতেও আমাদের এমন আয়োজন চলমান থাকবে।
এছাড়া ফাইনাল খেলায় বিজয়ী পুরষ্কারের পাশাপাশি বিভিন্ন কুইজ কুইজ প্রশ্নোত্তরের আয়োজন ছিলো। যে কেউ অংশগ্রহণ করে পুরষ্কার জিতে নেয়।