নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।
পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জানান, নুরুল হুদা স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। বিচারকের খাস কামরায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তার এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।
নুরুল হুদার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজিব অভিযোগ করেন, জামিন শুনানির আগেই তার মক্কেলের কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। জামিন আবেদনের শুনানি বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২২ জুন উত্তরার বাড়ি থেকে নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা এ মামলায় তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল। একই মামলায় গত ২৯ জুন সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খানের করা এ মামলায় ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তিন সাবেক সিইসিসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরবর্তীতে মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। সংবিধান ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এসব নির্বাচন পরিচালনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।