নিজস্ব প্রতিনিধি:
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিলের নতুন প্রক্রিয়া শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মিডলইস্ট আই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ বা জাতীয় নিরাপত্তার হুমকির অভিযোগে অভিবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে বিচার বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১১ জুন জারি করা এক নির্বাহী আদেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে জন্মভিত্তিক নাগরিকত্ব নীতিতেও পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসী বা অস্থায়ী ভিসাধারী অভিভাবকের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব না দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও আদালতের স্থগিতাদেশে তা এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। তবে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের পর ২৭ জুলাই থেকে এ নীতি বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হচ্ছে।
এসব পদক্ষেপের ফলে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু হিস্পানিক বংশোদ্ভূত নাগরিক ভুলবশত গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন ভোটার তালিকা যাচাইয়ের জন্য একটি জাতীয় ডেটাবেসও তৈরি করেছে, যা নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করবে।
বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্যও এ নীতি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যাদের নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া চলমান বা যারা গ্রিন কার্ডধারী। আইন বিশেষজ্ঞরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের নথিপত্র সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও সময়মতো হালনাগাদ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
সমালোচকরা মনে করছেন, এসব পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী অভিবাসন-বান্ধব নীতির পরিপন্থী এবং দেশের মৌলিক গণতান্ত্রিক চরিত্রকে পরিবর্তনের হুমকি তৈরি করেছে।