মোঃ নুর আলম পাপ্পু, খোকসা কুষ্টিয়াঃ
আজ ৪ জুলাই পবিত্র জুমার দিনে যখন সবাই ছিল ঘরে, কেউ হয়তো নামাজের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ঘড়ির কাটায় সকাল আনুমানিক ১০ টা ৩০ বাজতেই ভয়াবহ আগুনে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল খোকসা বাজারের স্কুল মার্কেটের একাংশ। চোখের সামনে মুহূর্তেই আগুন গিলে খেল পাঁচটি দোকান, পুড়ে ছাই হয়ে গেল তিলে তিলে গড়া ব্যবসা, জীবনের সব সঞ্চয়।
আগুন শুধু দোকান না, জীবনও পুড়িয়ে দিল আমাদের চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন এক ব্যবসায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রথম ধোঁয়া দেখা যায় “স্মার্ট টিভি শো-রুম” থেকে, যার মালিক মোঃ সিদ্দিক শাহ। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী দ্রুত খোকসা ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ অফিস ও থানা পুলিশকে ফোন দেন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে। তবে তার আগেই শেষ… যা শেষ হওয়ার নয়।
পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্থ দোকান গুলো হলো স্মার্ট টিভি শো-রুম মোঃ সিদ্দিক শাহ, আবরার ফার্মেসি মালিক মোঃ তৌফিক হেলাল সোহাগ, নাঈম ফার্মেসি মালিক মোঃ রেজাউল করিম, বন্ধু খেলা ঘর এর মালিক মোঃ জীবন, স্পোর্টস অ্যান্ড স্টাইল মালিক মোঃ লিটন বিশ্বাস। মোঃ রেজাউল করিম বলেন,একটা মার্কেটই ছিল জীবনের ভরসা। এখন তো রাস্তায় নামার মতো অবস্থাও নাই, ফার্মেসি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন রাজনৈতিক নেতারা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগুন লাগার শুরুতে দ্রুত পানি সরবরাহ এবং স্থানীয়দের প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকায় এত বড় ক্ষয় ক্ষতি একটু কম হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দ্রুত সরকারি সাহায্য ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। এলাকাবাসীর দাবি, স্থায়ী সমাধান ছাড়া আবারও ঘটতে পারে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
একটি আগুন যেন পুড়িয়ে দিল অনেক পরিবার, ব্যবসায়ী, স্বপ্ন আর নিরাপত্তার দেয়াল। আজকের এই অগ্নিকাণ্ড শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্যও এক জাগরণ বয়ে আনলো