রবিউল ইসলাম বাবুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা অবরুদ্ধ করে হামলা ভাঙচুর ও আসামী ছিনিয়ে নেওয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বেলাল হোসেন -সহ এপর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা থানা পুলিশ। এর মধ্যে হাতিবান্ধা থানা ৪ জন পাটগ্রাম থানা ১২ জন।
রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান হাতিবান্ধা থানা (ওসি) মাহমুদুন্নবী দৈনিক আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই থানায় ২৭ জন করে ৫৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। এপর্যন্ত পাটগ্রাম থানা অবরুদ্ধ হামলা ও ভাঙচুরের মামলা দন্ডিত ছিনিয়ে নেয়া আসামী বেলাল হোসেন সহ-১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,উপজেলার জোংরা ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি বেলাল হোসেন (২৮), উপজেলার রাধানাথ এলাকার সহর উদ্দিনের ছেলে জুলফিকার আলী (২৩), পাটগ্রাম পৌরসভার উত্তর সোহাগপুর এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম (৩৮), একই এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে লাজু মিয়া (৩০) ও বেংকান্দা এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩)। অন্যান্য আটক কৃতদের আগেই জেল হাজতে পাঠাণো হয়েছে।
গত শনিবার রাতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫ জন কে গ্রেফতা করা হয়।
পাথর কোয়ারির রয়ালিটির নামে গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে বুধবার রাতে সোহেল ও বেলালকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস। পরে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালাযনো হয়।
এসময় পুলিশসহ ২৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পার্শ্ববর্তী হাতীবান্ধা থানা পুলিশ রওনা দিলে তাদের থানাও অবরুদ্ধ করা হয়। সৃষ্ট ঘটনায় পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা থানায় পৃথক দুইটি মামলা ২৭ জন করে দুই থানায় ৫৪ জনের নামে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
সৃষ্ট ঘটনায় পাটগ্রাম থানা ও হাতিবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ও মাহমুদুন্নবী সঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তারা দৈনিক আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন দুই থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ঘটনায় ছিনিয়ে নেওয়া দুই আসামি সহ-এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে থানা পুলিশ।