মাহমুদুর রহমান নাঈম, ঢাকা প্রতিনিধি:
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল) এলাকায় মো. সোহাগ নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
দিনের আলোয় জনসম্মুখে একজন মানুষকে এভাবে হত্যা শুধু আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নয়, সমাজের বিবেককেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, চাঁদা না দেয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ মনে করে, অপরাধী যেই হোক—তার বিচার হওয়া চাই। অপরাধীর পরিচয় নয়, অপরাধই বিচারযোগ্য বিষয় হওয়া উচিত।
এই নির্মম ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় অতীতের সেই দুঃসময়, যখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। আমরা চাই না, জুলাই-পরবর্তী একটি ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে পুনরায় সেই অমানবিকতা ও নৃশংসতার ছায়া ফিরে আসুক।
আমরা নিহত সোহাগের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি দেশের ভেতরে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা ও জননিরাপত্তা রক্ষায় এই ব্যর্থতা দুর্ভাগ্যজনক। ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ মনে করে—এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সক্রিয়, দায়িত্বশীল ও কঠোর ভূমিকা সময়ের দাবি। আমরা আহ্বান জানাই, তারা যেন অবিলম্বে তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয় এবং জনবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।