১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

সিরাজগঞ্জে’র তাড়াশে মানবিক সহায়তার ঘর পেলেন গৃহহীন হামিদা

মোঃসোহাগ হোসেন,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গৃহহীন হামিদা খাতুন সরকারি অনুদান ও মানুষের সহযোগিতায় টিনের নতুন ঘর পেয়েছেন।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে দোয়ার আয়োজন করে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে দেওয়া হয়। হামিদা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দো-গাড়িয়া গ্রামে। তার স্বামীর নাম মৃত হবিবুর রহমান।

হামিদা খাতুন (৬১) বলেন, ঘর পেয়ে খুব খুশি তিনি। একসময় কবরস্থানের জায়গার ভুতুড়ে পরিবেশে বসবাস করতেন। পরে স্থানীয়রা মায়া করে ভিটা বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে থাকতে দেন। ভাঙা ঘরের ওপরে চাল ছিল না। পলিথিন দিয়ে রেখেছিলেন। বৃষ্টির পানি পড়ে ঘরের মেঝে-দেয়াল স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকতো। বহু বছর কেটে গেছে বসতঘর না থাকার কষ্টে।

গৃহহীন হামিদা খাতুনকে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন সমাজকর্মী গোলাম মোস্তফা। এরপর থেকেই সরকারি অনুদান ও মানুষের আর্থিক সহায়তায় হামিদ খাতুনকে টিনের একটি ১২ হাত ঘর করে দেওয়া হয়েছে। এখন তার স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য ল্যাট্রিন, টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ সুবিধা প্রয়োজন।
জানা গেছে, দুই মেয়ে রেখে হামিদা খাতুনের স্বামী হবিবুর রহমান মারা গেছেন বহু দিন আগে। অভাবের তাড়নায় বড় মেয়ে হাবিজা খাতুনকে এক বাড়িতে কাজে রেখেছিলেন। তারাই বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে ছাদিয়াকে দত্তক দিয়ে দেন। এখনও খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে হামিদার।

স্থানীয় দো-গাড়িয় গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা তফিজ উদ্দীন (৮২) বলেন, আমার পরিত্যক্ত ভিটে-বাড়িতে হামিদাকে থাকতে দিয়েছি। তার অনেক কষ্ট। দুনিয়াতে দেখার মতো কেউ নেই। ঘর পেয়ে তার খুবই উপকার হল।

সাদিকুল ইসলাম নামে দো-গাড়িয়া গ্রামের এক তরুণ বলেন, অসহায় হামিদার ঘর তৈরিতে যুব সমাজ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে পরিত্যক্ত ঘর ভেঙে নতুন ঘরের মেঝেতে মাটি ফেলা ও সমান করার কাজে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, আমরা কিছু সহযোগিতা দিয়েছি। অন্যেরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। এভাবে সহযোগিতা পেলে সমাজের অসহায় হামিদাদের দুঃখ ঘুচে যাবে।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top