নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) কর্মসূচিতে হামলাকে “জঙ্গি স্টাইলে গণহত্যার প্রচেষ্টা” বলে অভিহিত করেছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মুজিববাদী আদর্শের সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাকর্মী হত্যার লক্ষ্যে এই হামলা চালিয়েছে। এতে তিনজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।”
নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, “১ জুলাইয়ের আগে থেকেই আওয়ামী লীগ এই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপালগঞ্জ এখন তাদের সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সারাদেশ থেকে আসা আওয়ামী-ছাত্রলীগ কর্মীরা এই হামলায় অংশ নিয়েছে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “দীর্ঘদিন ধরে গোপালগঞ্জে শুধু আওয়ামী লীগই কর্মসূচি দিতে পারে—এই মিথকে চ্যালেঞ্জ করায় কি আমাদের ওপর এই হামলা?”
এনসিপি নেতা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করলেও মঞ্চে হামলা, পুলিশ গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো প্রশাসনের সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়। এই হামলা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ফল।” তিনি মুজিববাদের বিরুদ্ধে এনসিপির সংগ্রাম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
হামলার পর সারাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সমর্থনের জন্য নাহিদ কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি জানান, মাদারীপুর ও শরিয়তপুরের পরিকল্পিত কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে এই হামলার নিন্দা জানাবে এনসিপি। সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এই হামলা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট চরিত্রকেই উন্মোচন করেছে। জনগণ এখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে কারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে।” তিনি এনসিপির জেলা-ভিত্তিক সংলাপ ও জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কিত প্রচারণা অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন।