নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর বাজারে সবজির দামে সামান্য স্বস্তি ফিরেছে, বিশেষ করে কাঁচা মরিচের বাজারে আমদানি বৃদ্ধির কারণে দাম কমেছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) খিলক্ষেত, নয়াবাজার ও কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ এখন কেজিপ্রতি ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৩৫০ টাকার ওপরে ছিল। তবে অন্যান্য সবজির দামে ঈদুল আজহার পর থেকে স্থিতিশীল উচ্চমূল্য বজায় রয়েছে।
বৃষ্টিজনিত সমস্যার কারণে সবজি উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধির এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা রসেল জানান, “বৃষ্টির কারণে জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে, তাই সরবরাহ কমে গেছে।” বর্তমানে পটোল কেজি ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা এবং বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দামেও সাম্প্রতিক বৃদ্ধি দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগি এখন কেজিপ্রতি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১৫০-১৬০ টাকা ছিল। অন্যদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে – গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১,২০০ টাকা কেজি দরে।
চালের বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকলেও ইলিশ মাছের দাম চড়া। ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২,২০০ টাকা এবং দেড় কেজির ইলিশ ২,৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের মাছের মধ্যে রুই ৩৮০-৪৫০ টাকা এবং পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
বাজারে ক্রেতারা অভিযোগ করেন, “প্রতিদিনই কিছু না কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করছে।” খিলক্ষেত বাজারে এক ক্রেতা জানান, তিনি এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ৯০ টাকায় কিনেছেন, যা আগের চেয়ে কম হলেও এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।