২৪শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ধর্ষণ মামলায় নাম নেই, নেই বাদীর অভিযোগ তবুও বহিষ্কার তজুমদ্দিন ছাত্রদল নেতা সজীব

খন্দকার নিরব, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় আলোচিত ধর্ষণ মামলায় তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জয়নাল আবেদিন সজীবকে বিনা অপরাধে জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্যাতনের শিকার মামলার বাদী ও ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী মোঃ রুবেল। ছাত্রদল থেকে সজীবকে বহিষ্কার করায় তজুমদ্দিনের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর লিখিত চিঠি দিয়েছেন মামলার বাদী রুবেল।

লিখিত চিঠিতে রুবেল বলেন, “মোঃ জয়নাল আবেদিন সজীব এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। মামলায় তার নাম নেই, ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না। অথচ তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার ২নং সাক্ষি জামাল মাঝি সহ স্থানীয়রা জানান, কামারপট্টি রোডে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় জয়নাল আবেদিন সজীব কোন ভাবে যুক্ত নেই। ঘটনাস্থলেও সে উপস্থিত ছিলোনা।

তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের সাথে আমাদের দলের যারা জড়িত তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জড়িতদের বিচারের দাবিতে আমরা মানববন্ধন করেছি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি বাদী সহ প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের সাথে কথা বলেছি সেখানে সবাই বলেছে ছাত্রদল নেতা সজিব এই ঘটনায় কোন ভাবে জড়িত ছিলোনা। একটা নিরপরাধ ছেলে অপরাধী না হয়েও সংগঠন থেকে বহিষ্কার হলো। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ঘটনাটি তদন্ত করে নিরপরাধ ছাত্রদলের এই নেতার বহিষ্কার আদেশ যেনো প্রত্যাহার করা হয়।

তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মহব্বত খান জানান, তজুমদ্দিনের আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫জনকে আটক করা হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে সজিব নামে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার বাদী অভিযোগ করেনি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মশিউর রহমান মামুন জানান, তজুমদ্দিনের আলোচিত ধর্ষণকান্ডের ঘটনায় জয়নাল আবেদিন সজিব সহ ছাত্রদলের মোট ২জনকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। একটি কুচক্রি মহল পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে সবসময় ফায়দা নিতে চায়। উক্ত ঘটনায় সজিব জড়িত ছিলোনা মর্মে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন মামলার বাদী রুবেল মিয়া। মামলার বাদী ও ধর্ষিতা যেহেতু সরাসরী উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতির কাছে জানিয়েছে সজিব নির্দোষ। সেক্ষেত্রে সজিব এর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় থাকবে।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top