নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেনী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শুক্রবার দলীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য জাতিসংঘের অধীনে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২৪ জুলাই মধ্যরাতে পরশুরাম উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মিল্লাত হোসেন (২০) ও লিটন (৩২) নিহত এবং আফসার (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন। ডা. শফিকুর রহমান এ ঘটনাকে “মানবতাবিরোধী অপরাধ” আখ্যায়িত করে বলেন, “২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিএসএফ কমপক্ষে ৫৮৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে, কিন্তু কোনো ঘটনারই ন্যায়বিচার হয়নি।”
জামায়াত নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের “ভারত-তোষণ নীতিকে” এই সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করেন। তার মতে, “দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত বারবার আমাদের সীমান্তে রক্তপাত ঘটাচ্ছে।” তিনি ভারত সরকারকে ঘটনার তাৎক্ষণিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানানো হয়, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, “শুধু এই ঘটনা নয়, গত ১৫ বছরের সব সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানালেও, জামায়াতের এই বিবৃতি রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করতে পারে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে।