২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

লালমনিরহাট সদরের উপজেলার উন্নয়নের রোল মডেল পিআইও আল-আমিন

রবিউল ইসলাম বাবুল, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি:

লালমনিরহাট সদরের উপজেলার উন্নয়নের রোল মডেল পিআইও আল-আমিন। একজন সৎ,দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠাবান সরকারি কর্মকর্তার কর্মদক্ষতা কিভাবে সদর উপজেলার উন্নয়ন চিত্র বদলে দিতে পারে—তার অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আল-আমিন।

শনিবার (২৫ জুলাই) সদর উপজেলা টি,আর কাবিটা কাবিখা ঢেউটিন শিশুখাদ্য বিতরণ আবাসন প্রকল্প সহ- উপজেলার সকল উন্নয়ন মূলক কাজের অগ্রগতি ঘুড়ে দেখে গেলে এমন দৃশ্য।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার এ অর্থ বছরে টি,আর,কাবিটা/ কাবিখা টাকা চাল,গম বাবদ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে মোট বরাদ্দ ছিল -৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ৩১ হাজার প্রায়। চাল,১৩৯,,২২১৮ মেঃটঃ গম১৩৯ ২২১৮ মেঃটঃ।টি,আর,কাবিখা (চাল গম)প্রকল্পের মাধ্যেমে ২২০ টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছেন।

তিনি যে শুধু নিজের দায়িত্বে নিষ্ঠাবান তা নয়, বরং তার নিরবচ্ছিন্ন পরিদর্শন, তদারকি, সময়ানুবর্তিতা ও স্বচ্ছতার ফলে সদর উপজেলায় টি.আর,কাবিখা, কাবিটা, আশ্রয়ণ প্রকল্প, খাদ্য সহায়তা, রাস্তা নির্মাণ, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ-সহ প্রতিটি প্রকল্পেই এসেছে দৃশ্যমান অগ্রগতি।

সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা এ অর্থবছরে লালমনিরহাট সদর ইপজেলার ০৯টি ইউনিয়নে টি,আর,কাবিখা সহ- অন্যন্য সকল কাজে জনগণের মুখে প্রশংসার ধ্বনি। তার কাজে মাঠ পর্যায়ে সন্তুুষ্টি প্রকাশ করেছে প্রকল্প সভাপতি ঠিকাদার ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

বর্তমানে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হচ্ছে। কাজের মান, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রক্ষা করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্নয়ন নিয়ে আগ্রহ ও আস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

গোকুন্ডা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা সামিউল ইসলাম বলেন,আগে টি,আর,কা,বি,টা কাজের বরাদ্দের জন্য কাজের নামে টাকা বরাদ্দ হলেও দৃশ্যমান কিছুই দেখা যেত না। এখন সব কিছুই দৃশ্যমান। রাস্তা সস্কারের কাজ ব্রীজ কালভার্ট, ঢেউটিন বিতরণ শিশুখাদ্য বিতরণ টি,সি বি, জি,আর চাল-গম সহ- সকল কাজে স্বাচ্ছতার রুপ শ্পৃষ্ট। সদর উপজেলার সকল কাজে পি,আই,ও স্যার নিয়মিত মাঠে থাকেন, গ্রামের সাধারণ মানুষের তাঁর কাজের ব্যপারে কোনো অভিযোগ নেই। সদর উপজেলার উন্বনযন কাজে এটা অনেক বড় পরিবর্তন।”

চাল-গম ও শিশুখাদ্য, টি,সি,বি ঢেউটিন বিতরণেও নেই অনিয়ম ত্রাণ কার্যক্রমে ও এসেছে শৃঙ্খলা। প্রকৃত উপকারভোগীদের যাচাই-বাছাই করে চাল, গম, নগদ অর্থ, ঢেউটিন প্রদান করা হচ্ছে।বরাদ্দকৃত চাল বা গম বা টাকা সহ- সকল কাজে ব্যপক স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা মধ্যে কাজ হয়েছে এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় জন-প্রতিনিধিগন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা খঁনিয়াগাছ ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদলের সঙ্গে আলোচনা হলে তিনি বলেন,লালমনিরহাট সদর “পিআইও অফিসে এখন যে স্বচ্ছতা এসেছে, তাতে কোনো রাজনৈতিক চাপেও তালিকা বদলায় না। এটা একেবারেই ব্যতিক্রম।”যা আগে কখনও কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা করতে পারেনি,যেটি করে দেখিয়েছেন বর্তমান সদর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল-আমিন সরকার।

এদিকে লালনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোণীতা দাস ও পি,আই,ও আল-আমিনের দক্ষ পরিকল্পনা ও মনিটরিংয়ের কারণে সদর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে শতভাগ সফলভাবে।পি,আই,সি,আর,এফ কিউ জি,ওবি র কাজে শতভাগ সচ্ছতা এসেছে।এমনটি দাবী সদর উপজেলার সূশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষের। আবাসন প্রকল্পের গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ঘরগুলো দৃশ্যমান এবং বসবাস উপযোগী হয়েছে বলে জানিয়েছে আবাসন প্রকল্পে বাসবাসকারী দুঃস্থ অসহায মানুষ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসন প্রকল্প এলাকার একজন ব্যবসায়ী বলেন, পি,আই ও আল- আমিন স্যারের যথা সময়ে নীবিড় পরিদর্শন সততা,নিষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমে আবাসন প্রকল্পের বসবাসকারী দুঃস্থ অসহায় মানুষেরা সরকারের দেয়া এই সহায়তায় নতুন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন।

এদিকে আশরায়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া একজন বিধবা নারী রোকেয়া বেগম বলেন,এই ঘর না পেলে হয়তো রাস্তায় থাকতাম। পিআইও স্যারের লোকজন বাড়িতে এসে আমার খোঁজ খবর নিয়েছে,তাই দ্রুত ঘর পেয়েছি।(আল্লা ওমার ভালো করবে) ঘর পেয়ে অশ্রুশিক্ত চোঁখে গড় গড় করে কথা গুলো বলেন রোকেয়া।

বাস্তবায়িত প্রকল্পের তালিকায় যা যা আছে, যেমন গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য কাঁচা ও পাকা রাস্তা নির্মান। রাস্তা সংস্কার,ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ স্কুল মেরামত প্রাচীর নির্মাণ ও গেট স্থাপন ইউড্রেন,নির্মান, আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহ নির্মান। চাল,গম, নগদ অর্থ, ঢেউটিন ও শিশুখাদ্য বিতরণ। সরকারি দপ্তরের সুনাম প্রতিষ্ঠায় একজন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তার আন্তরিকতা ও দক্ষতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ—তার বাস্তব উদাহরণ লালমনিরহাট সদরের পিআইও আল-আমিন সরকার।

জনসেবার আদর্শ হয়ে ওঠা এই কর্মকর্তা জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও আস্থা ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। স্থানীয়রা চান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় এমন অফিসার থাকুক, যাতে প্রকৃত অর্থে গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামো উন্নয়ণ প্রকল্পে কাজের দিক থেকে দৃষ্টন্ত স্থাপন করে।

লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শাহরিয়ার তানভীর আহমেদ বলেন,”লালমনিরহাট সদরে পিআইও অফিসের কার্যক্রম বর্তমান সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্যকরভাবে চলছে। বিশেষ করে চাল-গম, ঢেউটিন, টি,আর কাবিটা/ কাবিখা প্রকল্পের কাজ শিশুখাদ্য বিতরণে যে স্বচ্ছতা এসেছে,তা জেলা পর্যায়ের প্রতিবেদনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার সঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি দৈনিক আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বলেন,সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল-আসিন অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও পরিশ্রমী একজন কর্মকর্তা। তিনি মাঠ পর্যায়ে উপস্থিত থেকে প্রতিটি কাজ তদারকি করেন, যা অন্যদের জন্য অনুকরণীয়।তার কর্মনিষ্ঠা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশংসিত।”

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top