নিজস্ব প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সকল শাখা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।
রিফাত রশিদ জানান, সাংগঠনিক কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “পরাজিত শক্তি আমাদের ব্যানারকে কলুষিত করার জন্য এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। যারা অনৈতিক কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাই।”
এই সিদ্ধান্তের পটভূমিতে রয়েছে গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগ। গতকাল সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ রিয়াদসহ চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে। গুলশান থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান রোববার এই আবেদন করেন। মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফর তার অভিযোগে জানান, ১৭ জুলাই রিয়াদ ও তার সহযোগীরা ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করে হুমকি দিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে তিনি ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন বাদী।
মামলার এজাহারে আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। ঘটনাটি এখন আদালত ও তদন্তকারী সংস্থার বিবেচনায় রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে সংগঠনের মূল আদর্শের পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত সংগঠন পুনর্গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।