নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ব্যাপক পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পলাতক আওয়ামী নেতারা ও সাবেক সেনা-পুলিশ কর্মকর্তারা এই নাশকতার নীলনকশা প্রস্তুত করছেন।
সূত্রমতে, গত ৮ জুলাই রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চার শতাধিক আওয়ামী ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জকে সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম হিসেবে ব্যবহার করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পলাতক আওয়ামী নেতাকর্মীদের সমাবেশ ঘটানো হচ্ছে, যেখানে তাদের নাশকতার আধুনিক কৌশল শেখানো হচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় নাশকতা তদারকির দায়িত্ব পেয়েছেন। পাশাপাশি সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুজিবুর রহমান ভারতে থেকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছেন। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, হুন্ডি পদ্ধতিতে ভারত থেকে অর্থ পাঠানো হচ্ছে এবং সুইজারল্যান্ডে অবস্থানরত সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খান বিদেশে তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন।
২২ জুলাই সচিবালয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শাহবাগ দখলেরও পরিকল্পনা ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে তাদের অনুগতদের ব্যবহার করে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, “সচিবালয়ে হামলা ও উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকার বিক্ষোভের পেছনে যারা আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।” চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শানতুও একই ধরনের বক্তব্য রেখেছেন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির মতো কোনো দুর্ঘটনার সুযোগ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে। এছাড়া পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যও পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সরকারি মহল থেকে জানানো হয়েছে, দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। সকল পর্যায়ে কঠোর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।