২৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পঞ্চগড় জেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো টি আর কাবিটা কর্মসূচিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পিআইও মাইদুল ইসলাম শাহ

রবিউল ইসলাম বাবুল, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি,(Test Relief) টি,আর কাবিটা,কাবিখার আওতায় গ্রামীন রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ট,সংস্কার,ইউড্রেন,নির্মান, প্রাচীর নির্মান সহ সকল কাজ বাস্তবায়নে নজিরবিহীন সফলতা দেখিয়েছেন উপজেলার সৎ নিষ্ঠাবান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ।

সোমবার(২৮ জুলাই) তেঁতুলিয়া উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ঘুড়ে দেখে গেলো উন্নয়নের বাস্তব চিত্র।

সরকারি নির্দেশনা ও নীতিমালার কঠোর অনুসরণ এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি এই কর্মসূচিকে রূপ দিয়েছেন একটি মডেল প্রকল্পে। এতে করে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন।

সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেতুলিয়া উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক, কালভার্ট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা টি,আর, কাবিটা, কাবিখা আওতায রাস্তা মেরামত,পাকাকরণ,ইউ ড্রেন তৈরী,আশ্রাযণ প্রকল্প ব্রীজ কালভার্ট ঢেউটিন বিতরণ ও অন্যান্য অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে বরাদ্দ আসে, তা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ব্যবহারের মাধ্যমে শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেন পিআইও মাইদুল ইসলাম শাহ।

একদিকে যেমন দুর্নীতি, অনিয়ম ও ফাইল জটিলতা থেকে মুক্ত ছিল পুরো তেতুলিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস। অন্যদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণও সরাসরি উপকৃত হয়েছেন সময়মতো কাজ শেষ হওয়ার কারণে।

তেতুলিয়া উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা তমিজার রহমান সহ- আরও কয়েকজন বলেন, “এতো দ্রুত ও সুন্দরভাবে কাজ শেষ হতে আমরা কখনও দেখিনি। আগে কাজের নামে শুধু বিল উঠত, রাস্তার কাজ হতো না নাম মাত্র কাজ কাজ করে বিল উত্তোলন করে নিত কিন্তুু এই পি,আই,ও স্যার যোগদানের পরথেকে কাজের মান অনেক ভালো হয়েছে। এখন প্রতিটি রাস্তা চলাচল উপযোগী, যাতায়াত সহজ হয়েছে।”

এব্যপারে পিআইও মাইদুল ইসলাম শাহ দৈনিক আমার বাংলাদেশ কে বলেন,“সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা, সময়নিষ্ঠা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। গ্রামীণ অবকাঠামোর মান উন্নয়ন না হলে জনগণের দুঃখ ঘোচে না, এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আমি কাজ করি।”

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কর্মসূচির আওতায় কাজ করা মহিলাকর্মীরা পেয়েছেন নিয়মিত মজুরি ও প্রশিক্ষণ সুবিধা, যা তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। তেতুলিয়ায় নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও এই প্রকল্প অনন্য ভূমিকা রেখেছে।

এই সফলতার মাধ্যমে পিআইও মাইদুল ইসলাম শুধু সরকারি দায়িত্বই পালন করেননি, বরং গ্রামীণ জনগণের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন। সরকারের “গ্রামীণ উন্নয়নই টেকসই উন্নয়ন” — এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তিনি হয়ে উঠেছেন একজন নিঃস্বার্থ কর্মদ্রষ্টা।

জাতীয় পর্যায়ে এমন উদ্যোগ ও সফলতার প্রচার এবং মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি এ ধরণের কর্মকর্তাদের উৎসাহ দেয় ও পুরস্কৃত করে, তাহলে দেশের প্রতিটি উপজেলায় এভাবে উন্নয়ন সম্ভব — এমনটাই মনে করছেন।
বিশ্লেষকরা।

তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি বলেন, তেতুলিয়ায় এ ধরনের কার্যকর বাস্তবায়ন এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এমনকি জেলা পর্যায়েও এটি একটি আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে অন্যান্য উপজেলা থেকেও এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ধরণ ও কৌশল শেখার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে বিভাগের অন্যন্য উপজেলা গুলো থেকে।

পঞ্চগড় জেলার সৎ নিষ্ঠাবান ও সুযেগ্য জেলা প্রসাশক সাবেত আলীর সংঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি দৈনিক আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বলেন,আমি মাঠ পর্যায়ে কাজ তদারকি করেছি কাজের মান অনেক ভালো বলে জানান তিনি।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top