আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং গাজায় চলমান মানবিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলকে যেকোনো ধরনের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিরোধিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “যতদিন গাজার শিশুরা খাদ্য ও ওষুধের অভাবে ভুগবে, ততদিন আমি ইসরাইলকে কোনো সহায়তা সমর্থন করব না। আমাদের প্রথম কর্তব্য মানবিক সাহায্য নিশ্চিত করা।”
সিনেটর কিংয়ের এই বক্তব্য মার্কিন রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে ইসরাইল-সমর্থক মহলের মধ্যে। অনেকেই এটিকে ‘ইসরাইলের নিরাপত্তাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের চেষ্টা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বর্তমানে গাজায় ইসরাইলি অবরোধ ও সামরিক অভিযানের কারণে মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজার প্রায় ৯০% শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না এবং অনেকেই তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। ইসরাইল গত দুই বছর ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে এবং চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে সব সীমান্তপথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে, যা সংকটকে আরও গভীর করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে উপেক্ষা করে চলেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। অবিরাম বোমাবর্ষণ ও অবরোধে গাজার পুরো অবকাঠামো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, সেখানে খাদ্য, পানি ও ওষুধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জরুরি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং ইসরাইল-হামাস সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জোরালো করছে। সিনেটর কিংয়ের এই অবস্থান গাজা সংকটে মার্কিন নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।