মোহাম্মদ নয়ন, তজুমদ্দিন ভোলা:
সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে রাত ৯টার দিকে তিনি কিটনাশক পান করে বলে জানিয়েছে স্বজনরা।
তনু তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শায়েস্তাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক বিতিস চন্দ্র দাস ও গৃহিনী উজ্জলা রাণী দাস দম্পতির একমাত্র মেয়ে ছিলেন। এছাড়া তনু তজুমদ্দিন মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
তনুর মা উজ্জলা রাণী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার (২৮ জুলাই) আমার মেয়ে তনুর জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে বাসায় এসেই সে অস্থির হয়ে পড়ে। আমাকে জানায় পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লিখেছে এবং বার বার বলে ‘আমি আর পাস করব না’। পরে তাকে সান্ত্বনা দেই। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রাত ৯টার দিকে তার চিৎকারের শব্দ শুনে রুমে গিয়ে দেখি পানের বরজের জন্য ঘরে এনে রাখা কীটনাশক খেয়ে ছটপট করছে। পরে তনুকে চিকিৎসার জন্য তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক জানায় তনু মৃত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. জুনায়েদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই তরুণীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেছি। তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল, কীটনাশক পানে তার মৃত্যু হয়েছে।