মোঃ শহিদুল ইসলাম পিয়ারুল-ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বন্ধুর বাসায় খুন হলো রিয়াদ (২৫) নামে এক যুুবক। বুধবার (৩০ জুন) সকালে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের গারুয়া গ্রামের ভাটুয়াপাড়ার বন্ধু নাদিমের বসত ঘর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ। নিহত রিয়াদ উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের পোড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র। উক্ত ঘটনার পর থেকে ওই বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
জানাগেছে, কয়েকদিন আগে আচারগাঁও এর ঘারুয়া পুড়াবাড়িয়া গ্রামের জনৈক হানিফ মিয়ার একটি ইজিবাইক (অটোরিক্সা) বাড়ি থেকে চুরি হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে হানিফের লোকজন রিয়াদকে আটক করে। আটকের পর আচারগাঁও বিলপাড়ার সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির সামনে একটি সালিশ বৈঠক বসায়। সালিশ দরবারে আটক রিয়াদ হানিফের অটোবাইক চুরি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয় এবং এই চুরির সাথে একই গারুয়া ভাটুয়াপাড়া গ্রামের নাদিম মিয়াও জড়িত ছিল বলে জানায়।
তাৎক্ষনিক মাতাব্বরগণ তাদের লোকদের দিয়ে নাদিমকে তাঁর এলাকা থেকে আটক করে সালিশী বৈঠকে উপস্থিত করা হয়। খবর পেয়ে নাদিমের মা ময়না বেগম সালিশ স্থলে গিয়ে রিয়াদ ও নাদিমকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। ওইদিন রাতে রিয়াদ নাদিমের সাথে বসতঘরে থেকে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন ওই ঘরে নিহত রিয়াদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। উল্লেখ্য রিয়াদ ও নাদিম তারা একে অপরের বন্ধু ছিল। থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে নিহতের লাশ মমেক হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছেন।
নিহত রিয়াদের পিতা আব্দুল লতিফ জানান, আমার ছেলের সাথে একই গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর পুত্র আবুল হোসেনের সাথে মনোমালিন্য ছিল। আমার ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। তবে সে নেশা-মেশায় জড়িত থাকতো। আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মুজাহিদ ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে ও খুনীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।