৩১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পাটগ্রাম উপজেলার গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের রোল মডেল পি আই,ও আতাউর রহমান

রবিউল ইসলাম বাবুল, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি:

উত্তর জনপদের অবহেলিত জেলা লালমনিরহাট। এ জেলা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত দীর্ঘকাল ধরে। লালমনিরহাটের সর্বশেষ উপজেলা পাটগ্রাম।

এ উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে স্বল্প বরাদ্দ হলেও এই অল্প বরাদ্দ দিয়ে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। যেমনঃ কাবিটা, কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের আওতায় এক বছরে শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়িত হচ্ছে। পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও হতদরিদ্রদের ত্রাণ বিতরণ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই চলছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জোয়ার।

পাটগ্রাম উপজেলা গ্রামীন জনগোষ্ঠীর অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ জন্য ২০২৪/২৫ অর্থ বছরে শুধু টি আর (Test Relief) প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ২, ১০, ৯৬, ৮৭৩. ৭১ টাকা। মোট প্রকল্প সংখ্যা: ১১০টি। কাবিখা, চাল/গম বাবদ মোট বরাদ্দ ছিল, গমঃ১২৪. ৯৪৩৬ মেঃটঃ এবং চাল-১২৪.৯৪৩৬ মেঃটঃ মোট প্রকল্পঃ ৪৩টি।

কাজের বিনিময়ে (টাকা) কাবিটা মোট বরাদ্দঃ ১,৮৭,৪১,৫৬৭.৬২ টাকা, প্রকল্প সংখ্যা ৪৮ টি। এ বরাদ্দ পাটগ্রাম উপজেলার উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০জুলাই) পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেলো উন্নয়ন কর্ম যজ্ঞের বিরল পক্ষপটের দৃশ্য -যা প্রমান করে যে সততা নিষ্ঠা থাকলে একজন পি,আই, ও কিভাবে তার নিরলস পরিশ্রম আর অদম্য কর্মদক্ষতা দিয়ে কাজের গুনগত মান নিশ্চিত করতে দিন রাত পরিশ্রম করে বাস্তবে রুপ দিতে পারে তার বাস্তব উদাহরণ লালমনিরহাট জেলার গর্ব মডেল পি,আই,ও আতাউর রহমান। তাঁর কর্ম দক্ষতাই একমাত্র উজ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে আজীবন এ উপজেলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায়।

তিনি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে সরকারের এই উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে সরকারি এ অর্থ বরাদ্দ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ব্যবহারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগনের দৌড় গোড়ায় এর সুফল পৌছে দিতে চায়। তাই পি,আই,ও র এমন মহতি উদ্যেগ কে পরিবর্তনের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন স্থানীয় জন প্রতিনিধি সাধারণ মানুষ ও সূশীল সমাজের বিবেকবান গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ।

পাটগ্রাম উপজেলায় যে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়িত হচ্ছেঃ- সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো—পাকা ও কাঁচা রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার। ইউ-ড্রেন নির্মাণ। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, আই লাভ পাটগ্রাম’ ও ‘বুড়িমারী জিরো পয়েন্ট’ নির্মাণ, প্যালাসাইটিং,(SlopeProtection) কালভার্টও ব্রিজ নির্মাণ। হ্যারিং বোন বন্ড রাস্তা মেরামত৷ ঢেউটিন বিতরণ,আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, কাঁচা রাস্তা সংস্কার। মাটি ভরাট, পুকুরের পাড় রক্ষাবাধ নির্মান। রাস্তা সিসি ঢালাই গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ ও দুঃস্থ ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর,টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকিমূল্যে খাদ্যপণ্য বিতরণ, জি.আর. চাল বিতরণ, হতদরিদ্রদের মাঝে নগদ সহায়তা ও খাদ্য সহায়তা প্রদান।

পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান ও নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশের নিবরলস তত্ত্বাবধানে এ উপজেলা সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে কাজ চলছে। উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে নিয়মিত মনিটরিং চলছে দু” জনের-ই। প্রতি প্রকল্পের কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে ও সরেজমিন পরিদর্শন, করে থাকেন। স্থানীয় জনতার অংশগ্রহণ এবং নিয়মিত অডিটিং-এর মাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে তিনি ও তার প্রশাসন।

পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়—উন্নয়ন কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।জনগণের মুখে হাসি, দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, আমার “বাড়ির সামনের রাস্তা অনেকদিন ধরেই কাঁচা ছিল। পি,আই ও আতাউর রহমান প্রধানের হস্তক্ষেপে আজ আমরা গ্রামের মানুষ পাকা রাস্তার মুখ দেখছি। তা-না হলে রাস্তা কাঁচাই থেকে যেত। আমাদের উপজেলায় নতুন পি,আই,ও এসে আমাদের এত দিনের কষ্ট লাঘব হয়েছে। আগে এ রাস্তা দিয়ে হাঁটা যেতনা, কষ্ট হতো, এখন রিকশা চলে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা উন্নয়ন।”এটি সম্ভব হয়েছে পি,আই,ও আতাউর স্যারের কারণে। আমরা গ্রামবাসী তাঁর জন্য দোয়া করি।

জনগণের মাঝে তৃপ্তির প্রতিচ্ছবি,সাধারণ মানুষ বলছে— অতীতে অনেক সময় প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ছিল, সময়মতো কাজ হতো না, কিংবা কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু পিআইও আতাউর রহমান প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পুরো চিত্রটাই পাল্টে গেছে। এখন কাজ হয় নিয়ম মেনে সময়মতো ও যথাযথ মান বজায় রেখে।

বিশেষ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের আওতায় চাল ও গম বিতরণে যে স্বচ্ছতা তিনি নিশ্চিত করেছেন, তা এলাকাবাসীর মধ্যে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করেছে। কেউ অভিযোগ করেনি, বরং সবাই পেয়েছে তাদের প্রাপ্য। এমন কাজের জন্য একজন সরকারি কর্মকর্তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা এখন দৃশ্যমান।

এ ব্যপারে একজন ভূমিহীন বিধবা নারী বলেন,আমি কখনো ভাবিনি একটা পাকা টিনের ঘর পাব। সরকার আমাদের জন্য যা করছে তা চোখে দেখা যায়। আমি সত্যি ঘর পেয়ে খুশি হয়েছি।

জন প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট জন প্রতিনিধিরা জানান,“উপজেলার প্রতিটি মানুষ যাতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল পায়, সেজন্য প্রতিটি প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।”

তারা আরও জানান, বরাদ্দকৃত অর্থের প্রতিটি টাকাই জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, কোনো দুর্নীতি বা গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে চায় সরকার।

এ ব্যপারে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের সঙ্গে মুঠো ফোনে আলোচনা হলে তিনি দৈনিক আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বলেন, এ বছর টি,আর,কাবি,টা ও কাবিখা সহ- সকল প্রকল্পের কাজ ভালো হয়েছে। আমি নিজে কমবেশী প্রতিটি প্রকল্পে গিয়ে পরিদর্শন করেছি।

তিনি আরও বলেন, একটি আধুনিক,উপজেলা তৈরী সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নায়ন ও রূপান্তরের লক্ষ্যে এসব লোভনীয় প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

এদিকে এলাকার স্থানীয়, জনগন ও উন্নয়ন কর্মীরা বলেন,জনগণের প্রত্যাশা ও উন্নয়নের এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীরা যেন সরকারী সেবার আওতায় আসে, সে বিষয়ে সকলকে এগিয়ে এসে একসাথে কাজ করতে হবে, তাহলে পাটগ্রাম পৌরসভা একটি মডেল পৌরসভায় পরিনিত হবে বলে মনে করছেন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ ব্যপারে লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা শাহরিয়ার তানভীর আহমেদ দৈনিক আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বলেন, পাটগ্রামের মতো একটি প্রত্যন্ত এলাকায় এমন একজন কর্মনিষ্ঠ, সৎ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিঃসন্দেহে প্রশাসনের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আতাউর রহমানের নেতৃত্বে যেভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে, তা দেশব্যাপী অনুসরণযোগ্য, এবং এটি একটি উজ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে আজীবন।

বর্তমান সময়ে প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধির পেছনে পি,আই,ও আতাউর রহমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এভাবেই একজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হয়ে উঠতে পারেন জনগণের প্রিয় একজন। জেলার মডেল পিআই ও আতাউর রহমান তাঁর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

সৃষ্ট ঘটনায় লালমনিরহাট জেলার সৎ নিষ্ঠাবান ও সুযোগ্য জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের সঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি বলেন,পাটগ্রাম উপজেলার গ্রামীন জনগোষ্ঠীর অবকাঠামো উন্নয়ন রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় টি,আর,কাবিটা কাবিখা সহ-অন্যান্য কাজ গুলি পরিদর্শন করা হয়েছে কাজের মান খুব ভালো হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top