বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে একটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আর তা হলো বিএনপি এবং অন্যান্য ইসলামিক ডানপন্থী দল, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে এক ধরনের অঘোষিত প্রতিযোগিতা। এই পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এর সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
প্রশ্ন উঠেছে, রাজনীতির মাঠে বিএনপি কেন নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারছে না, যেখানে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ডানপন্থী দলগুলো তাদের কার্যক্রম পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে? সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, জামায়াত নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে এবং জনসম্পৃক্ততা তৈরিতে সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচি ও জনসংযোগের মাধ্যমে তারা নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। অথচ, ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী দল বিএনপি যেন এক ধরনের নিষ্ক্রিয়তা বা এবং চাঁদাবাজি,দখলদারিত্ব, মামলা বানিজ্যে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে ।
মাঠের রাজনীতিতে শক্তি প্রদর্শনেও দুই দলের মধ্যে ইতোমধ্যে বিস্তার ফারাক সৃষ্টি হয়েছে। জামায়াত যদিও রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব এর বলয় তৈরি করেছে কিন্তু বিএনপি তা করতে ব্যার্থ হয়েছে।
এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে নির্বাচন আসার আগ পর্যন্ত বিএনপির জন্য পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল হতে পারে। জামায়াত এবং অন্যান্য ইসলামিক ডানপন্থী দলগুলো যদি মাঠ পর্যায়ে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়, তবে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী ভোটব্যাংকে এর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, যদি এই দলগুলো ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে একটি শক্তিশালী জনমত তৈরি করতে পারে, তাহলে বিএনপির জন্য তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
সব মিলিয়ে, বিএনপির জন্য এই মুহূর্তটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তারা দ্রুত নিজেদের কৌশল পরিবর্তন করে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় না হয় এবং নিজেদের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে না পারে, তাহলে আগামী নির্বাচনে তাদের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডানপন্থী রাজনীতির এই নতুন সমীকরণে বিএনপির টিকে থাকা এবং ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি এখন তাদের নিজস্ব কৌশল ও তৎপরতার ওপরই নির্ভরশীল।
শিক্ষার্থী
আল হোসাইন
অনুষদ: এগ্রিকালচার ইন্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
সিলেট -৩১০০