খন্দকার নিরব, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিনে রহস্যজনক নিখোঁজের ৪ দিন পর বাড়ির বাগানের পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে বাকপ্রতিবন্ধী যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত লাশের হাতে-পায়ে, বুকে ও চোখে মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করেন। গত মঙ্গলবার ২৯ জুলাই বিকালে বাকপ্রতিবন্ধী মোঃ কবির নিজ এলাকা শম্ভুপুর বাংলাবাজার এরিয়া থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
নিহত বাকপ্রতিবন্ধী মো. কবির (৩৫) তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের নাজিমুদ্দিন রাঢ়ি বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে। সে ৪ সন্তানের জনক। সংসারে তার বৃদ্ধ মা ও স্ত্রী রয়েছে। তিনি দিনমজুরির কাজ করতেন।
কবিরের বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম জানান, আমার বোবা ছেলে মঙ্গলবার বিকালে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খুঁজেছি। সে ইশারা ইঙ্গিতে কথা বলে। এমনকি কারও কাছে খাবারটুকুও চেয়ে নিতে পারে না। ৪টা নাতি নাতনি নিয়ে কার কাছে যাবো। কারা আমার বোবা ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজের আগের দিন (সোমবার) জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার চাচা ও চাচাতো ভাইদের সাথে ঝগড়া হয়। সেদিন বিকালে নিহত কবিরকে তার চাচাতো ভাই মোঃ রাসেল (২৩), মোঃ রিয়াজ (৩০), তাদের বন্ধু মোঃ আলাউদ্দিন (৩০) মিলে কবিরকে বাগানে ডেকে নিয়ে স্প্রিং অস্ত্র বের করলে তিনি দৌড়ে বাসায় এসে কাঁপতে থাকেন। এবং পরিবারসহ স্থানীয় কয়েকজনকে অবগত করেছেন।
নিখোঁজের পরেরদিন তার ঘরের সামনে পাওয়া একটি চিরকুটে তাকে হত্যা করা হয়েছে ও পরবর্তীতে তার ছোট ভাই মোঃ কামরুলকেও হত্যা করা হবে উল্লেখ রয়েছে।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোহাব্বত খান জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশের টিম পুকুরে ভাসমান লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। উদ্ধারকৃত লাশের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।