জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের দুমকি সাতানী গ্রামে ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে দুটি বক্স কালভার্ট, কিন্তু সেখানে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। ফলে স্থানীয় জনগণের যাতায়াতের কোনো উপযোগিতাই সৃষ্টি হয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও প্রশ্ন-কার স্বার্থে এ নির্মাণ?
দুমকি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে “বিশেষ বরাদ্দ খাতে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সাতানী গ্রামে নির্মাণ হয় কালভার্ট দুটি। একটির নির্মাণ ব্যয় ৩৩ লাখ এবং অন্যটির ৩৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা। নির্মাণের দায়িত্বে ছিল মেসার্স রুকাইয়া ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এলাকা বাসিরা বলেন, খাল ও নালার ওপর পরপর দুইটি কালভার্ট নির্মিত হলেও এর সঙ্গে কোনো রাস্তার সংযোগ নেই। এমনকি পাশের এলাকায় ভবিষ্যতে কোনো সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনাও নেই বলে জানা গেছে। তারা মনে করছেন, সাধারণ জনগণের উপকারের কথা বিবেচনা না করেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।
সাতানী গ্রামের বাসিন্দা খলিল হাওলাদার ও আবুল কালাম বলেন, “এই কালভার্ট সাধারণ মানুষের কোনো কাজে আসবে না। সাবেক এমপি এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদারের মসজিদ কমপ্লেক্সে যাতায়াত সুবিধার জন্যই এটি নির্মিত হয়েছে। কিন্তু রাস্তা না থাকায় সেটিও অকার্যকর।”
এদিকে ঠিকাদার মেহেদী হাসান রোহান জানান, তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছেন এবং অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পিআইও মোহাম্মদ আলী বলেন, “এটি স্থানীয় এমপির নির্দেশনায় প্রস্তাবিত প্রকল্প ছিল। আমাদের হাতে কোনো স্বাধীনতা ছিল না। বরাদ্দ অনুযায়ী টেন্ডার হয়ে কাজ সম্পন্ন হয়েছে।”
স্থানীয়দের মতে, রাস্তাবিহীন এই অব্যবহারযোগ্য কালভার্ট প্রকল্পটি সরকারি অর্থের অপচয়ের আরেকটি উদাহরণ।